ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার চলচ্চিত্রের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার নিন্দা জানিয়েছেন খোদ ইউক্রেনের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সের্গেই লোজনিৎসা। ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনকে চিঠি লিখে, এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুরস্কারপ্রাপ্ত এই পরিচালক।
‘দোনবাস’ এবং ‘বাবি ইয়ার কনটেক্সটের’ মতো প্রশংসিত চলচ্চিত্রের নির্মাতা লোজনিৎসা বলেন, ‘রাশিয়ার বহু বন্ধু, সহকর্মী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা এই উন্মাদ যুদ্ধের বিরোধী। রাশিয়ার চলচ্চিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা শুনলে আমার এই নির্মাতাদের কথা মনে পড়ে, যারা সবাই ভালো মানুষ। তারা এই আগ্রাসনের শিকার মাত্র।’
এর আগে, এক মন্তব্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ‘লঘু’ প্রতিবাদ করায় ইউরোপীয় ফিল্ম অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধেও কথা বলেছিলেন তিনি। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ইএফএ’র কাছে চিঠি দিয়ে, সংগঠনটি থেকে নিজের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
মঙ্গলবার, ইএফএ’র বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, ইউরোপীয় ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড থেকে এবার রাশিয়াকে বাদ দেয়া হবে। তবে লোজনিৎসা বলেছেন, রাশিয়ার চলচ্চিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া কখনোই তার প্রতিবাদের উদ্দেশ্য ছিল না।
তিনি জানান, ‘ফেব্রুয়ারিতে যখন রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে তখন সবার আগে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছেন আমার রাশান চলচ্চিত্রনির্মাতা বন্ধু ভিক্টর কোসাকোভস্কি, বলেছিলেন, আমাকে ক্ষমা করো, এটি ভয়াবহ বিপর্যয়, আমি খুবই লজ্জিত। একইদিন আমি আন্দ্রে জিভিয়াগিনস্তেভের কাছ থেকে ভিডিওবার্তা পাই, যিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার কারণে এখনো খুবই দুর্বল।’
লোজনিৎসা আরও বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে যা ঘটছে তা মর্মান্তিক, তবু আমি আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি, পাগলামি যেন আপনাদের পেয়ে না বসে। পাসপোর্ট এর ওপর ভিত্তি করে কাউকে বিচার করা উচিত নয়। আমাদের বিচার করতে হবে তার কার্যক্রম দিয়ে৷ পাসপোর্ট তো নির্ভর করে আপনার কোথায় জন্ম তার ওপর, আর মানুষের কাজ নির্ভর করে তার ইচ্ছাশক্তির ওপর।
দেশ রূপান্তর