সাইবার অপরাধ: প্রসঙ্গ বাংলাদেশের নারী

গাজী শরীফা ইয়াছমিন: রিমি আহমেদ একটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে মেসেঞ্জারে অপরিচিত অ্যাকাউন্ট থেকে বিকৃত মেসেজ পান। ব্যাপারটি তিনি পাত্তা না দিয়ে বাড়ি পৌঁছান। এরপর রাতে সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই প্রথমে মেসেঞ্জারে অডিও কল ও কিছুক্ষণ পর থেকেই ভিডিও কল পেতে থাকেন। কল রিসিভ না করে উপেক্ষা করায় আসতে থাকে অশ্লীল ছবি। অফিস সহকর্মীদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সময় জানতে পারেন, প্রায় বেশির ভাগ নারী সহকর্মী কোনো না কোনোভাবে অনলাইনে এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

বর্তমানে আমরা সবাই কমবেশি ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সবচেয়ে সহজলভ্য বস্তু হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটে যুক্ত হতে গিয়ে কেউ আবার ইচ্ছা-অনিচ্ছায় জড়িয়ে পড়ছে অপরাধের-জালে। আর অপরাধের এমন ডিজিটাল রূপান্তরের একটি হলো সাইবার অপরাধ।

সাধারণ অর্থে সাইবার অপরাধ হলো এমন একটি অপরাধ, যা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সম্পর্কিত। আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যেমন ইন্টারনেট (চ্যাট রুম, ইমেল, নোটিশ বোর্ড ও গ্রুপ) এবং মোবাইল ফোন (এসএমএস/এমএমএস) ব্যবহার করে, অপরাধমূলক অভিপ্রায়ে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্মানহানি, কিংবা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা বা ক্ষতির কারণ হওয়া সাইবার অপরাধের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও ফেসবুক বা যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, মানহানিকর, বিভ্রান্তিমূলক, অশালীন, অরুচিকর, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক, উস্কানিমূলক কিছু লেখা বা মন্তব্য করা কিংবা ছবি বা ভিডিও আপলোড করা সাইবার অপরাধের অন্তর্ভুক্ত।

সাইবার অপরাধ প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন- ব্যক্তি সংক্রান্ত সাইবার অপরাধ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত সাইবার অপরাধ। প্রথমত, ব্যক্তি সংক্রান্ত সাইবার অপরাধের মধ্যে রয়েছে সাইবার পর্নোগ্রাফি, সাইবার স্টকিং, সাইবার ডিফেমেশন ইত্যাদি। অন্যদিকে, সম্পত্তি সংক্রান্ত সাইবার অপরাধের মধ্যে রয়েছে অনলাইন জুয়া, ফিশিং, কপিরাইট লঙ্ঘন, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ইত্যাদির মতো নানা ধরনের অপরাধ।

আসলে সাইবার অপরাধের ধরণ সচরাচর ঘটে যাওয়া অপরাধ থেকে ভিন্ন। এটি একটি বাউন্ডারিলেস বা সীমানাহীন ক্রাইম। ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে, অন্য যেকোনো প্রান্তের মানুষের ক্ষতিসাধন সম্ভব। Cyber crime and the Victimization of Women: Laws, Rights, and Regulations গ্রন্থের সংজ্ঞানুযায়ী, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, ইচ্ছাকৃতভাবে মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতির উদ্দেশ্যে নারীর প্রতি অপরাধই হলো নারীর প্রতি সাইবার অপরাধ। এক জরিপের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ১৬ থেকে ২৪ বছরের নারীরা এ অপরাধে সবচেয়ে বেশি শিকার হন এবং ৬৮ শতাংশ নারী সাইবার জগতে সাইবার অপরাধের শিকার।

প্রযুক্তির প্রসারের কারণে ইন্টারনেট ছাড়া দুনিয়া এখন অচল। বিগত দুই বছরে করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শুরু করে অফিস, কেনাকাটা অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছে। এর যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমন বিপরীত দিকও আছে। এর ফলে বেড়েছে হয়রানি। আর নারীরাই এর শিকার হচ্ছেন বেশি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন সাইবার অপরাধ ও প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজে নিয়োজিত। ফাউন্ডেশনের গবেষণার তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে যত সাইবার অপরাধ হয়, এর প্রায় ৭০ শতাংশের শিকার হচ্ছেন নারীরা। নারীদের যেসব অপরাধের শিকার হয়ে বেশি ভুগতে হয় সেগুলো হচ্ছে- ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া বা হুমকি দেওয়া বা হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করা, ফেসবুক আইডি হ্যাক করা, ব্ল্যাকমেইলিং করা, ছবি বা ভিডিও এডিট বা সুপার ইম্পোজ করে ছড়িয়ে দেওয়া, অশ্লীল ছবি দিয়ে আপত্তিকর কনটেন্ট বা ফেক আইডি তৈরি করা, সাইবার বুলিং বা ফোন নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া, হয়রানিমূলক এসএমএস, মেইল বা লিংক পাঠানো।

নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে,  সাইবার স্পেস নিরাপদ রাখতে, সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। সাইবার নিরাপত্তা এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত ও বিচারের উদ্দেশ্যে ২০০৬ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’, যা ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়েছে। ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি বহন, বিনিময়, মুঠোফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা, বিক্রি প্রভৃতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৫ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ ও ২০১৮ সালে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ প্রণীত হয়েছে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০১৩ সালে সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্টের মামলাগুলো পর্যালোচনায় দেখা গেছে ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই নারী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা তাদের ওপর ঘটে যাওয়া অপরাধ সম্পর্কে অভিযোগ করেন না। তারা যাতে নির্দ্বিধায় অভিযোগ করতে পারেন, সেজন্য ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর নারীদের সাইবার সহায়তা দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখার অধীনে চালু করা হয়েছে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (Police Cyber Support for Women-PCSW) বা পিসিএসডব্লিউ ইউনিট। পিসিএসডব্লিউ ইউনিটের ভিশন হচ্ছে, নারীর জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস তৈরিকরণ, সাইবার স্পেসে শুধু নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ও আইনি সহায়তা দেওয়া এবং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এছাড়াও এই ইউনিটের মিশন হচ্ছে, সাইবার স্পেসে শুধু নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ও আইনি সহায়তা দেওয়া এবং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

নারী পুলিশ সদস্যরাই পিসিএসডব্লিউ ইউনিটটি পরিচালনা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীরা সাধারণত সাইবার বুলিং, আইডি হ্যাক, স্পর্শকাতর তথ্য, ছবি, ভিডিও প্রকাশ, সাইবার স্পেসে যৌন হয়রানি ইত্যাদি অপরাধের শিকার হয়ে থাকেন। সাইবার অপরাধের শিকার নারী ভুক্তভোগীরা চারটি উপায়ে অভিযোগ জানাতে পারেন- এক) পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন নামের ফেসবুক পেজে (Police Cyber Support for Women-PCSW), দুই) ইমেইলে (cybersupport.women@police.gov.bd), তিন) হটলাইনে (০১৩২০০০০৮৮৮) এবং চার)  জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে নারী ভুক্তভোগীরা অভিযোগ জানাতে পারেন। তাদের পরিচয় গোপন রেখে এ ইউনিটের নারী পুলিশ সদস্যরা প্রয়োজনীয় সেবা ও আইনি সহায়তা দিতে কাজ করেন। অভিযোগের ধরন যাচাই করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই ফেইক আইডির মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছেন। ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১৭ হাজার ২৮০ জন অভিযোগ করেছেন। তাদের মধ্যে নারী ১২ হাজার ৬৮১ জন। অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ হাজার ২২১ জনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে সাইবার হয়রানি থেকে সুরক্ষা দিতে একটি সাইবার হেল্প ডেস্কে রয়েছে। এই হেল্প ডেস্কে অভিযোগকারীদের মধ্যে ৭০ ভাগই নারী৷ আরও সুনির্দিষ্টভাবে নারীদের অভিযোগের ৬০ ভাগেরও বেশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক সংক্রান্ত। হেল্প ডেস্কের দেয়া তথ্য মতে, ফেসবুকের চ্যাট বা ভিডিও চ্যাটের ছবি একটু এদিকে-ওদিক করে বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিডিও চিত্র দ্রুত ইউটিউবে বা বিভিন্ন পর্নোসাইটে শেয়ার করা হচ্ছে৷ এই অভিযোগ আসার দুই একদিনের মধ্যে রিপোর্ট করতে গিয়ে দেখা যায় তা কয়েক হাজারবার শেয়ার হয়ে গেছে। এ সব ঘটনা ফেসবুকে রিপোর্ট করেও কাজ হয় না, কারণ দেখা যায় তা ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের মধ্যে পড়ে না৷ এছাড়া গুগলও তা মুছতে চায় না৷ ফলে হয়রানির স্বীকার নারীর জন্য পরিস্থিতি খুব জটিল হয়ে ওঠে৷

প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মেয়েদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতন করার উদ্দেশ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মত উদ্ভাবন করা হয়েছে কন্যাকথা নামের বিশেষায়িত ওয়েব পোর্টাল। এই পোর্টালের ভিশন হচ্ছে- কিশোরীদের জন্য সাইবার অপরাধমুক্ত আনন্দময় বাংলাদেশ এবং মিশন হচ্ছে- প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মেয়েদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতন করে গড়ে তোলা। এছাড়া এই পোর্টালের উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে সাইবার অপরাধ বিষয়ে মতামত অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে একটি সাইবার অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি (সিসিএ) কার্যালয়ের উপসচিব হাসিনা বেগম ‘কন্যাকথা’র উদ্যোক্তা। কোনো কিশোরী যখন সাইবার অপরাধের শিকার হয়, সর্বপ্রথম দরকার কাউন্সেলিং এবং যত দ্রুত সম্ভব অপরাধী শনাক্ত করা। সারা দেশে কন্যাকথার ৭৪ জন জেলা প্রতিনিধি আছেন। তারা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বন্ধুদের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম চালান।

সম্প্রতি ফেসবুকের বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সাথে বিটিআরসি, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও এজেন্সির সাথে পুলিশের বৈঠক হয়েছে। ফেসবুকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে ইস্যু বা অভিযোগ তুলে ফেসবুক আইডির তথ্য চাওয়া হয়, সেটি ফেসবুকসহ সংশ্লিষ্ট কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের মধ্যে পড়ে না। এই কারণে তারা অনেক আইডির তথ্য দিতে পারেন না। এক্ষেত্রে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষের সাথে ফরমাল চুক্তি করতে হবে। যার ফলে তারা তথ্য সরবরাহ করতে অনেকটা বাধ্য থাকবেন। এই চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশসহ উভয় দিকের ইতিবাচক সম্মতি রয়েছে। যে কোনো সময়ে এ চুক্তি হতে পারে।

নারীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রযুক্তির এই যুগে নতুন চ্যালেঞ্জ সাইবার হয়রানি। বর্তমান যুগে প্রতিদিন নতুন নতুন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপসের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপসগুলোতে ব্যবহারকারীদের পরিচয় গোপন রাখার সুযোগ বেশি থাকায়, এদের ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে। সেই সাথে পরিচয় গোপন রেখে অপরাধ করার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অপরাধী শনাক্ত করার প্রক্রিয়া দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়ছে। এ কারণে সাইবার স্পেসে নারীর হয়রানি রোধে ব্যক্তি সচেতনতার বিকল্প নেই।

আইনের সাথে সাথে অনলাইন ব্যবহারকারীদেরও সতর্ক হতে হবে। নিজেদের ফেসবুক, ই-মেইল আইডি সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং পাসওয়ার্ড কারোর সাথে শেয়ার করা যাবে না। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত ছবি দেয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। স্কুলের পাঠ্যক্রমে ইন্টারনেট এথিকস যুক্ত করতে হবে, অনিরাপদ অ্যাপ ব্যবহার না করা এবং হয়রানির ঘটনা গোপন না রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে তা জানানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা, সতর্কতা ও নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার। সময়ের সাথে সাথে  ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লেও, আমাদের অনেক ব্যবহারকারীর নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা নেই। এ কারণে নিজের অজান্তেই অনেকেই অপরাধের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। অপরিচিত ব্যক্তির সাথে ব্যক্তিগত তথ্য আদান প্রদান, বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের তথ্য প্রকাশে সাবধান হতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সাইবার হয়রানির ধরন সম্পর্কে ধারণা দেয়া এবং ভুক্তভোগী কীভাবে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, অপরাধের প্রমাণ কীভাবে রাখবেন ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হলে সাইবার স্পেসে নারীর হয়রানি নিশ্চয়ই অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

লেখক: তথ্য অফিসার, পিআইডি, ঢাকা

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

6 + 2 =