সালেক সুফী: নির্বিষ উইকেটে তিনদিনেও দুটি দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয়নি। তবুও সূক্ষ বিচারে বলাই যায় এখন বাংলাদেশ (৩১৮/৩) ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ৭৯ রান পিছিয়ে থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছেছে। সফরকারীরা ৩৯৭ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করেছিল। উইকেটে আছে মুশফিক (৫৩*) আর লিটন (৫৪*)। ১৩৩ রান করা তামিম আহত হয়ে অবসর নিয়েছে , সাকিব এখনো ব্যাটিং করেনি।
বাংলাদেশ তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত একটু চালিয়ে ব্যাট করলেই ১২০-১৫০ লিড নিতে পারবে। উইকেট যদিও এখনো পেস বা স্পিন কোনো বোলিং সহায়তা করছে না তবুও শুষ্ক উইকেট চতুর্থ দিন কোনো এক সময়ে বাড়তি টার্ন এবং বাউন্স নিয়ে সাকিব, নাঈম, তাইজুল নিয়ে গড়া বাংলাদেশ স্পিন আক্রমণকে সহায়তা দিলে অবাক হবো না।
কাল যে খেলা হয়েছে সেখানে মুখ্য ছিল তামিমের দায়িত্বপূর্ণ স্বভাবসুলভ ব্যাটিং। ১০ম শতরান করার পথে তামিম বন্ধু মুশফিককে অতিক্রম করে সর্বোচ্চ টেস্ট রানের অধিকারী হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। ১৩৩ রান করার পর হাতের কব্জি ক্র্যাক না করলে হয়তো সবার আগে ৫০০০ টেস্ট রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারতো।
যাহোক মুশফিক (৫৩*) হয়তো ওর আগে পৌঁছাবে। কোন এক সময় তামিম হয়তো ফিরে আবারো বাট করবে। তবে তামিম-জয় ১৬২ রানের প্রথম উইকেট জুটি বাংলাদেশ ইনিংসকে শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। তৃতীয় দিন সকালের সেশনে উইকেট পড়েনি। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর খেলা শুরু হতেই ৫৮ রান করে ফিরে যায় জয়, চটজলদি নড়বড়ে ব্যাটিং ফর্মে থাকা শান্ত , মমিনুলকে উড়িয়ে দেয় আসিতা ফের্নান্দোর বদলি হয়ে খেলা কাশুন রঞ্জিতা।
০/১৬২ থেকে ৩/১৮৪ একটু হকচকিয়ে যায় বাংলাদেশ। কিছু পরে তামিম আহত হয়ে অবসর নিলে মুশফিক, লিটনকে সতর্কতার সঙ্গে খেলতে হয়। যাহোক দুইজন ভালো খেলে দিনশেষে বাংলাদেশকে নিরাপদ অবস্থান (৩১৮/৩ ) পৌঁছে দিয়েছে। পরিস্থিতি আর ম্যাচের অবস্থান বলে দেয় বাংলাদেশ কাল কোনো একসময় ১২০-১৩০ রান এগিয়ে গেলে শ্রীলংকা চাপে পড়বে। বাংলাদেশের জয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
উইকেটে বাড়তি স্পিন, অসম বাউন্স হতেও পারে চতুর্থ দিন বিকেল থেকে। কিন্তু খেলাটার নাম টেস্ট ক্রিকেট। পর্বে পর্বে ক্ষণে ক্ষণে লাস্যময়ী রমণীর মাত্যই রং বদলায়। দেখা যাক প্রকৃতি কি নির্ধারিত করে রেখেছেন চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্যে?