শহীদ মিনারে আবদুল গাফফার চৌধুরীর কফিনে শ্রদ্ধা

প্রবীণ সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও গীতিকার আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে। সেখানে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শনিবার সকালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লন্ডন থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে  সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ।দুপুর ১টার পর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ শহীদ মিনারে এসে পৌঁছে। এ সময় তার কফিনে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এরপর সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সহ দলটির নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর নানা শ্রেণিপেশার মানুষ তার কফিনে শ্রদ্ধা জানান।

শনিবার সকাল ১১টা দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি২০২ যোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তার মরদেহ পৌঁছে‌।এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী খান, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।

জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গার্ড অব অনার ও সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আবদুল গাফফার চৌধুরীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল চারটায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবে নেওয়া হবে।

সাড়ে চারটার দিকে মরদেহবাহী গাড়ি মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের উদ্দেশ্য যাত্রা করবে এবং সাড়ে পাঁচটায় সমাহিত হবেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।

বর্ষীয়ান এ সাংবাদিক ও লেখক গত ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা, সাংবাদিক-সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ লন্ডন থেকে দেশে এসেছে।

কয়েক মাস চিকিৎসাধীন থেকে গত ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান ৮৮ বছর বয়সী গাফফার চৌধুরী। পরদিন শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা হয়।

বাঙালির অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা গাফফার চৌধুরী একাত্তরের মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।

পেশায় সাংবাদিক গাফফার চৌধুরী কলামনিস্ট হিসেবে ছিলেন সুপরিচিত। গল্প-কবিতা-উপন্যাসেও তিনি রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত গাফফার চৌধুরী স্বাধীনতার পর থেকে প্রবাসে ছিলেন।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 × one =