২৭ জুন অঞ্জনার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন অঞ্জনা। সোমবার (২৭ জুন) রাত ১২টা এক মিনিটে বাসায় পরিবারের সঙ্গে কেক কাটেন। তিনি বলেন, ‘রাত ১২টার পর থেকে চলচ্চিত্রসহ আমার পরিচিত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া এসএমএস ও ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। সবার ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।’
চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী অঞ্জনা তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি কাজ শুরু করলেও তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিটি ছিলো ‘দস্যু বনহুর’। শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত এ ছবিটি ১৯৭৬ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়। এই সিনেমায় অঞ্জনার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এরপর প্রায় তিন শত এর অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এরই মধ্যে সিনেমা জগতে জীবনের ৪৫ বছর পার করেছেন তিনি।
নায়িকা অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তার প্রথম সিনেমা ‘দস্যু বনহুর’ সুপারহিট হয়েছিলো সেই সময়। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিন শতাধিক ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আন্তর্জাতিক পুরস্কার, একাধিকবার জাতীয় স্বর্ণপদক, বাচসাস পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো মাটির মায়া (খান আতাউর রহমান), অশিক্ষিত (আজিজুর রহমান), চোখের মণি ও সুখের সংসার (নারায়ণ ঘোষ মিতা), জিঞ্জির, অংশীদার ও আনারকলি (দিলীপ বিশ্বাস), বিচারপতি (গাজী মাজহারুল আনোয়ার), আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ (শফি বিক্রমপুরী), অভিযান (নায়করাজ রাজ্জাক), মহান ও রাজার রাজা (আলমগীর কুমকুম), বিস্ফোরণ (এফ আই মানিক), ফুলেশ্বরী (আজিজুর রহমান), রাম রহিম জন (সত্য সাহা), নাগিনা (মতিউর রহমান বাদল), পরীণিতা (আলমগীর কবির) প্রভৃতি।
জাগো নিউজ