লতিফুল ইসলাম শিবলী। ৯০ দশকজুড়ে যিনি রাজত্ব করেছিলেন ব্যান্ড ঘরানার বাণীসমৃদ্ধ গানে। তার লেখা ও সুরে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ শিল্পীরা। তাই নয়, তিনি নিজেও কণ্ঠ দিয়েছেন বেশ কিছু গানে। গান নিয়ে ব্যস্ত থাকা এই তারকা গীতিকবি মাঝে কিছুটা সময় আড়াল ছিলেন। ব্যস্ত হন লেখালেখির টেবিল হয়ে বইমেলার স্টলে। সেখানেও মেলে দারুণ জনপ্রিয়তা।
ভক্ত-শ্রোতাদের দিলেন নতুন খবর। জানালেন, এখন থেকে তাকে আবারও পাওয়া যাবে গানে-সুরে-কণ্ঠে। সেই ধারাবাহিকতায় টানা চার বছর পর গত ৫ আগস্ট নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করলেন ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গান’। শিবলীর কথা-সুরে গানটির সংগীতায়োজন ও কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব ইসলাম।
শিবলীর ভাষ্য, ‘বছর চারেক আগে শেষবার গানের কাজ করেছিলাম। এরপর তো বই লেখালেখির কাজে সময় দেওয়া শুরু করলাম। এর মধ্যেই খেয়াল করে দেখলাম, কোথাও কোনও সুখবর নেই, চারিদিকে শুধু হতাশা! রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক অথবা ব্যক্তিজীবন সব কিছুতেই নেমে এসেছে বিপর্যয়। এসব থেকে বাঁচার জন্য মানুষ নিজেকে নিজেই হত্যা করছে। আর বর্তমান সময়ে আত্মহত্যা রূপ নিয়েছে মহামারিতে। সেই ভাবনা থেকেই আবারও গান লেখা এবং প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সাড়ে চার মিনিটের গানটা যখন আপনার শোনা শেষ হবে, তখন যথারীতি এক ডজন হতাশাগ্রস্থ মানুষ আত্মহত্যা করে ফেলেছে! তাই এটা নিছক একটি গান নয়, বরং গানের চেয়েও বেশি কিছু।’
লতিফুল ইসলাম শিবলী জানান, এখন থেকে নবীন শিল্পীদের নিয়ে প্রতিনিয়তই নতুন গান প্রকাশ করবেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার কণ্ঠেও আসবে নতুন গানের নানা আয়োজন।
লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখা ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘কেউ সুখী নয়’, ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘নীল বেদনা’, ‘আহা জীবন’, ‘একটা চাকরি হবে চাঁদমামা, ‘জেল থেকে বলছি’, ‘গিটার কাঁদতে জানে’, ‘প্রিয় আকাশী’, ‘নাটোর স্টেশন’, ‘একজন বিবাগী’, ‘এ-শহরের কত-শত অট্টালিকার ফাঁকে’, ‘পলাশীর প্রান্তরে’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘হাজার বর্ষা রাত’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে।
বাংলা ট্রিবিউন