সালেক সুফী: সবুজ ঘাসে ঢাকা অচেনা উইকেট , বসন্তেও হিমেল পরিবেশ, সাকিববিহীন বাংলাদেশের সামনে তুখোড় পাকিস্তান। জয়ের প্রশ্নই আসে না। তবে ২১ রানের কাঙ্ক্ষিত পরাজয়েও প্রাপ্তি ছিল বেশ; সোহানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশের। বাংলাদেশ টস জিতে পাকিস্তানের ইনিংস ১৬৭/৫ সীমিত করতে পারাটাও মন্দের ভালো ছিল। কেউ ভাবেনি। পাকিস্তানের বাহারি বোলিংয়ের সামনে ভড়কে যায়নি বাংলাদেশ, সেটিই বা কম কিসের। টি ২০ ক্রিকেটে ২১ রানের পরাজয়কে বলবো না হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কিন্তু নবীন দলের ১৪৬/৮ আত্মবিশ্লেষণের জন্য কম নয়। সূচনা ভালো হয়নি বাংলাদেশের, মিডল অর্ডার গতিশীলতা আনতে পারেনি। আর তাই ক্রমাগত পিছিয়ে পড়েছে টার্গেট থেকে। হতাশ হবার কিছু নেই। বাংলাদেশের কাছ থেকে কেউ বড় কিছু আশা করা ঠিক হবে না। তবে লড়াই করুক সেটাই সবাই চায়।
কেন শেষ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ড পৌঁছেও কেন খেলেনি সাকিব সেটি নিয়ে আলোচনা অবান্তর। অধিনায়ক আরো অনেক দায়িত্ব সচেতন হবার দরকার আছে এটি সাকিব বার বার উপেক্ষা করছে; বিসিবি ওকে জামাই আদর করায়।
যাক সেই কথা। জানি না কোন পরিকল্পনায় মেহেদী মেরাজ আর সাব্বিরকে দিয়ে দলের ইনিংস সূচনা করা। ওরা স্পেশালিস্ট ওপেনার নয়। অস্ট্রেলিয়া নিউজিলান্ড উইকেটে ওপেনার ব্যাটসম্যানদের জন্য সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকে। প্রথম ম্যাচকে নিয়ে নাইবা বললাম বেশি কিছু। তবে বাংলাদেশের এই গ্যাম্বলিং বুমেরাং হবে কি না সময় বলবে। যথারীতি ব্যর্থ হয়েছে ওপেনিংয়ে নামা সাব্বির, মেরাজ। লিটন (৩৫) আর ইয়াসির আলী (৪২*) ছাড়া সবাই স্ট্রাগেল করেছে।
পাকিস্তান দলে কিন্তু শাহীন আফ্রিদি বা নাসিম শাহ ছিল না। ওয়াসিম (৩/২৪) , মোহাম্মদ নেওয়াজ (২/২৫) বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট মনে করেছে পাকিস্তান। শেষ ওভারে ইয়াসির আলী কয়েকটি আক্রমণাত্মক স্ট্রোক না খেলতে পারলে পরাজয়ের ব্যাবধান আরো বড় হতে পারতো। যাহোক ২১ রানের পরাজয়কে হতাশাজনক বলবো না। শিক্ষাসফরে বাংলাদেশের সূচনা ভালো হলো সেটিও বলা যাবে না। তবে এই দল নিয়ে চলতি ট্রাই দেশীয় সিরিজ বা বিশ্বকাপে ম্যাচ জয়ের আশা করলে নিরাশ হতে হবে।