সালেক সুফী: স্বাদ গন্ধ বর্ণহীন বোলিং বাংলাদেশকে কম্পিটিটিভ স্কোর করেও জয়ী হতে দিলো না। লিটন (৪২ বলে ৬৩ ) এবং সাকিব (৪২ বলে ৬২) রানের সুবাদে ১৭৩/৬ করলেও রিজওয়ান (৬৯), বাবর আজম (৫৫) এবং মোহাম্মদ নওয়াজের (৪৫*) করে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেলো পাকিস্তান। চার ম্যাচে চার পরাজয়। শূন্য পাত্রেই শেষ হলো বাংলাদেশের প্রাক বিশ্বকাপ প্রস্তুতি পর্ব। হয়তো এখন থেকেও প্রাপ্তি খুঁজবে বাংলাদেশ।
সাকিব বিশ্বমানের খেলোয়াড়, লিটন এখন পুরো মাত্রায় বিকশিত। এই দুইজন ছাড়া মিডল অর্ডার বলুন বা স্লগ ওভার্স, কোথাও বাংলাদেশ দলে আন্তর্জাতিক মানের ব্যাটসম্যান নাই। আর বোলিং দিয়ে কোনো ম্যাচে কোনো দলের বিরুদ্ধেই ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। বার বার জুটি পরিবর্তন করেও ওপেনিং জুটির সমস্যা সমাধান হলো না। অভিজ্ঞদের অবহেলা করে জানিনা টিমের থিঙ্ক ট্যাংক কি ভাবছে?
বাংলাদেশের টুর্নামেন্ট ভাগ্য গতকাল স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড দলের সঙ্গে হেরে নির্ধারিত হয়েছিল। আজ ছিল নিয়ম রক্ষার খেলা। টস জয় করে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাকিব। শান্তর সঙ্গে সৌম্যকে দিয়ে শুরু করার এক্সপেরিমেন্ট বার্থ হলো। সৌম্য বা শান্ত কেউ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলো না। বিশ্বকাপের আগে ওপেনিং জুটির সংকট রয়েই গেলো। ম্যাচের যা কিছু অর্জন লিটনের ধ্রুপদী ব্যাটিং ( ৪২ বলে দুই ছয় , ছয় চারে ৬৩)। আর ফর্মে থাকা সাকিবের স্বভাবসুলভ (৪২ বলে ৬২)। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৯ রান যোগ করে মোমেন্টাম সৃষ্টি করলেও আফিফ, ইয়াসির, সোহান আবারো ব্যর্থ। হ্যাগলি ওভালের রান সমৃদ্ধ উইকেটে ১৭৩/৬ এভারেস্ট শৃঙ্গের স্কোর না হলেও লড়াই করার মতো পুঁজি ছিল।
জবাবে টি২০ ক্রিকেটে বিশ্ব সেরা ওপেনার জুটি রিজওয়ান (৬৯) আর বাবার আজম (৫৫) প্রথম উইকেট জুটির ধীর অথচ পরিণত জুটি পাকিস্তানকে জয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলো। হাসান ২৭ রানে দুটি উইকেট পেলেও অন্য কারো বোলিং আন্তর্জাতিক মানের হয়নি। রিজওয়ান এবং নেওয়াজ স্বচ্ছন্দে খেলে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের সহজ জয় এনে দেয়।
কেউ আশা করেনি বাংলাদেশ ট্রাই নেশন টুর্নামেন্টে ট্রফি জয় করবে। টুর্নামেন্টটির নাম দেয়া হয়েছিল বাংলা ওয়াশ। সেই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশকেই ওয়াশ করে দেওয়ায় কষ্ট পেলাম। হয়তো বিসিবির কাছে অজুহাত আছে। বিশ্বকাপ শুরু হয়ে যাবে অচিরেই। বাংলাদেশ দল তাঁবু গাড়বে এডিলেডে। ভেবেছিলাম বাংলাদেশের ম্যাচগুলো সবগুলো দেখবো। মনে হয় না বাংলাদেশ একটি ম্যাচেও জয় পাবে। তবুও মন চাইবে ওরা ঘুরে দাঁড়াক। দলের পরিকল্পনায় বিস্তর ঘাটতি আছে।
—