ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম সিকদারের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে আগামী ২৪ নভেম্বর রেখেছেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
গত ৭ সেপ্টেম্বর আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এই দুটি মামলা দায়ের করেন। ওইদিন আদালত আসামির প্রতি সমন জারি করেন। আজ সমন জারি বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন।
একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে গত বছর ৫ ও ৭ জুন তিনটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য অর্ডার দেন মামুন। কিন্তু পরবর্তীতে অর্ডারকৃত মোটরসাইকেল দিতে ব্যর্থ হয়ে আসামি বাদীকে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড গুলশান কর্পোরেট শাখার আলেশা মার্টের নামে থাকা চার লাখ ২৩ হাজার টাকার দুটি চেক প্রদান করেন।
সেই চেক নগদায়নের জন্য গত ২০ জুন বাদীর নিজ নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক ইব্রাহীমপুর শাখায় জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এরপর গত ১৭ জুলাই আসামির প্রতি লিগ্যাল নোটিশ ইস্যু করা হলেও টাকা না পাওয়ায় এই মামলা করেন।
অন্য মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর ২৪ জুন তিনটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার দেন। অর্ডারকৃত মোটরসাইকেল দিতে ব্যর্থ হয়ে আসামি তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আলেশা অ্যাগ্রো লিমিটেডের নামে ইসলামী ব্যাংক বনানী শাখার অ্যাকাউন্টের তিন লাখ ৫২ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। চেকটি নগদায়নের জন্য গত ২৮ জুলাই বাদীর নিজ নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক ইব্রাহীমপুর শাখায় জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়।
এরপর টাকা পরিশোধে গত ৩ সেপ্টেম্বর আসামির প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এতেও ফল না পেয়ে বাদী আদালতে মামলা করেন।