মাদক মামলায় জামিন পেয়ে বাসায় ফিরেছেন পরীমনি। এই চিত্রনায়িকা বাসায় ফিরেই পেয়েছেন বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশ। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলছেন পরীমনি।
উল্টো তিনি নিজেই বাসা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিডিয়াকে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে পরীমনি বলেন, ‘৭ বছর বনানী থেকেছি, কেউ কখনো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। আমি কখনো উগ্রভাবে চলাফেরাও করিনি। কেউ আমাকে বলতেও পারবে না- আমার বাসায় রাত-বিরাতে মানুষজন আসে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় পুরো বাংলাদেশ আমার বাসার ঠিকানা জেনে গেছে। ফলে আমি এখন নিরাপদ বোধ করছি না। নিরাপত্তার জন্যই আমি বাসা ছেড়ে দিতে চাচ্ছি।’
এ সময় পরীমনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘মানুষের তো প্রাইভেসি থাকে, কিন্তু আমার বেডটাও দেখিয়ে দিয়েছে।’
আপনি কখন শুনেছেন বাড়িওয়ালা বাসা ছেড়ে দিতে বলেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘গতকাল (১ সেপ্টেম্বর) বাসায় ঢোকার পরপরই কথাটি শুনে আসলে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। পরে বাড়িওয়ালা আন্টির সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারলাম তিনি সেই অর্থে কাথাটা বলেননি। সত্যি বলতে, এই ফ্ল্যাটে আরো অনেকেই থাকেন। কিন্তু গত মাসে প্রতিদিন যেভাবে গণমাধ্যমকর্মী, মোবাইল হাতে ভক্ত, ইউটিউবার আর প্রশাসনের লোক আমার বাড়িতে ভিড় করেছে, তাতে বাড়ির অন্য সদস্যদের স্বাভাবিক জীবন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে তাদের অভিযোগ অমুলক নয়। সুতরাং আমি নিজেই চাচ্ছি বাসা ছেড়ে দিতে।’
এক প্রশ্নের জবাব পরীমনি বলেন, ‘অনেকেই আমাকে বলেছেন ‘আমি এতটা স্ট্রং হলাম কীভাবে? আমার বিশ্বাস ছিল সত্য সবসময় সত্য। এর বাইরে কিছু নেই। আমি যদি কিছু করে থাকি তবেই আমি ভেতরে ভেতরে দুর্বল থাকবো। আমি তো দুর্বল হওয়ার মতো কিছু করিনি। ফলে কেন আমি মাথা নত করবো?’
রঙবেরঙ প্রতিবেদক