টি২০ বিশ্বকাপ ২০২২: ক্যাঙ্গারু বাহিনীর সিংহ বধের কাহিনী

সালেক সুফী: টি২০ শিরোপাধারী অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙ্গারু বাহিনী দেশের মাটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকার প্রয়াসে কাল পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ নগরীতে অপটাস স্টেডিয়ামে করো অথবা মরো মিশন নিয়ে নেমেছিল এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকান সিংহদের বিরুদ্ধে। খেলার একটা পর্যায় শ্রীলংকানদের বেঁধে দেওয়া টার্গেট ১৫৮ তাড়া করে ১২.২ ওভার পর্যন্ত ৩/৮৯ করে টুর্নামেন্ট ছিটকে পড়ার শংকায় ছিল। উইকেটে এসে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ছেলে মার্কাস স্ট্যানিস ভারত মহাসাগরে টর্নেডো সৃষ্টি করে ১৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ৩.৩ ওভার হাতে রেখেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জয় করলো। টুর্নামেন্টে দারুন ভাবে ফিরে আসলো ক্যাঙ্গারু ভাবিনি। শ্রীলংকার সম্ভাবনাও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি।

স্মরণ করা যেতে পারে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তাসমান কাজিনদের কাছে বিশাল ব্যাবধানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। কাল হেরে গেলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকায় দুরূহ হয়ে দাঁড়াতো মৃত্যুকূপের গ্রুপে। পার্থের পেসি বাউন্সি উইকেটে স্টার্ক, কামিন্স, হেজেলউডরা ঝড় তুলতে পারেনি। শ্রীলঙ্কানরা ১৫৭/৬ রান করে মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং টার্গেট  দিয়েছিলো।  অবশ্য ইনিংস বদলের সময় স্কোরটি অন্তত ১৫-২০ রান অপর্যাপ্ত মনে হচ্ছিলো বিশেষজ্ঞদের কাছে। এই স্কোর গড়ায় ভূমিকা ছিল পিথুন নিঃশঙ্ক (৪০), চরিথা আসালংকা (৩৮*) আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (২৬)। ওদের একজন ৬০-৭০ করলে শ্রীলংকা আরো কঠিন টার্গেট দিতে পারতো।

আশা করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া হেসে খেলে জিতে নিবে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কাঁপুনি ধরেছিলো। ওয়ার্নার, মার্শ ফিরে যাবার পর উইকেটে সংগ্রাম করতে থাকা ফফ্লিঞ্চের সঙ্গে কিছুক্ষণ ছিল ম্যাক্সওয়েল। ১২.২ ওভারে ম্যাক্সওয়েল ফিরে যাবার সময় রান ছিল ৮৯/৩., টার্গেট থেকে ৬৯ রান পিছিয়ে ৪৫ বলে।

উইকেটে এসেই ঝড় তুললো ঘরের ছেলে স্ট্যানিস।  ১৮ বল খেলে চারটি চার আর ছয়টি প্রচন্ড ছক্কা অস্ট্রেলিয়াকে ৩.৩ ওভার হাতে রেখেই জয় এনে দিলো। সাধারণওতো সিংহ ক্যাঙ্গারু শিকার করে। উল্টো এখানে ক্ষুধার্ত ক্যাঙ্গারু সিংহদের তাড়িয়ে দিলো। স্টোনিসের ইনিংসটি টি২০ টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম আর বিশ্ব ক্রিকেটে যৌথ দ্রুততম মাইল ফলক।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − five =