সালেক সুফী
আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এবারের ঘটনাবহুল টি২০ বিশ্বকাপে চাঁদের কলঙ্ক হিসাবে বিবেচিত হবে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলে মানা যেত। কিন্তু প্রতিটি ঘটনা যখন বিশেষ বিশেষ দলের অনুকূলে যায় তখন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আসতেই পারে। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মেনে নিতে কষ্ট নেই। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে কোন খেলোয়াড় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করবে সেটি মেনে নেয়া যায় না।
বিতর্ক ছিল ভারত পাকিস্তান খেলার অন্তত দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে। একটি মোহাম্মদ নেওয়াজের নো বল আরেকটি ফ্রি হিট থেকে তিনটি রান। হয়তো চুলচেরা বিশ্লেষণে সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কিন্তু ৫০:৫০ সিদ্ধান্ত খেলার ফলাফল নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
এরপরের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির ফেকিং। ফিডলিং করার সময় তিনি বল ছাড়াই বল নিক্ষেপের ভান করে ছলোনা করেছেন। আইসিসির নিয়ম মোতাবেক ভারত দলের ৫ রান জরিমানা হওয়ার কথা। আর সেটি করলে খেলার ফলাফল পাল্টে যেত। এবারেও সুবিধা পায় ভারত।
তৃতীয় ঘটনাটি কাল ঘটেছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাকিবকে বিতর্কিত এলবিডব্লু ঘোষণা। বল ব্যাটে লেগেছিলো, রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গাছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই বিতর্কিত আউট বাংলাদেশের মোমেন্টাম থমকে দেয়। সাকিব উইকেটে থেকে দ্রুত ২০-২৫ রান করলে ম্যাচের ফলাফল পাল্টে যেতে পারতো। এই ক্ষেত্রেও বঞ্চিত বাংলাদেশ।
আমি বাংলাদেশি ক্রিকেট প্রেমিক। এখন অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী। দীর্ঘ চার বছর কাটিয়েছি আফগানিস্তানে। ক্রিকেট বিশ্বের খোঁজ খবর রাখি ৫০ বছরের বেশি সময়। সুস্থ পরিচ্ছন্ন ক্রিকেট দেখতে পছন্দ করি। এবারের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ের খেলা ভালো লেগেছে। অনেক অঘটন ঘটিয়েছে ওরা। প্রমাণ করেছে এখন টি২০ ক্রিকেটে ছোট দল বড় দল বলে কিছু নেই।
কিছু বিতর্ক না থাকলে এবারের বিশ্বকাপ আরো সুন্দর হতো। সন্দেহ নেই ভারত ও পাকিস্তান জনপ্রিয় দল। এই দুই দল ফাইনাল খেললে দর্শকে ভেঙে পড়বে এমসিজিতে। দুই দলের যোগ্যতা আছে ফাইনাল খেলার। কিন্তু সেটি নিয়ম নীতি মেনে হলে ভালো হতো, ভালো হয়।