সালেক সুফী
টি২০ বিশ্বকাপ জিতে এবং জিতিয়ে টি২০ ফরমেট থেকে অবসর ঘোষণা করলো ভারতের সর্বকালের সেরা দুইজন ক্রিকেটার বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। ঠিক এমনি বিশ্বকাপ জিতিয়ে এমসিজিতে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিল পাকিস্তানের ক্যারিসমেটিক অধিনায়ক ইমরান খান।
বিশ্ব ক্রিকেটে এমন নজির কিন্তু আছে অনেক। ফর্মের তুঙ্গে থেকে অবসর নিলে কারো কোন বদান্যতায় দলের বোঝা হয়ে খেলতে হয় না। মাথা উঁচু করে বিদায় বলার জন্য রোহিত, বিরাটকে টুপি খোলা কুর্নিশ। শুনেছি আরো বিদায় বলেছে তুখোড় অল রাউন্ডার রাভিন্দ্রা জাদেজা। কিংবদন্তিদের অবসরে কিছুটা প্রভাব পড়বে জাতীয় দলে।
কিন্তু শক্তিশালী অবকাঠামো এবং ভালো ঘরোয়া টুর্নামেন্টের কারণে ভারতে এখন উন্নত ক্রিকেট খেলোয়াড়দের জোয়ার। বিরাট, রোহিতের শূন্যস্থান পূরণ হতে সময় লাগবে না। প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশের তথাকথিত তারকারা নিভু নিভু থাকলেও নিজেদের কেন গুটিয়ে নিচ্ছেন। মনে হয় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া না হলে ওরা নিজে থেকে যাবে না।
এবারের টুর্নামেন্টে নিজের ভূমিকায় উজ্জ্বল ছিল রোহিত। বিরাট একটু ফর্মহীন থাকলেও ফাইনালে ঠিক জ্বলে উঠে ম্যাচ সেরা হয়েছে। বিশ্বমঞ্চে বিজয়ী হয়েই বীরের মতো বিদায় জানালো একটি ফরমেট থেকে। হয়ত অচিরে অন্য ফরমেট থেকেও সরে দাঁড়াবে। দেখুন সময় কিন্তু মসৃণ ধারায় এগিয়ে যায়, দুনিয়ায় কেউ চিরদিন কোন কিছুর জন্য অপরিহার্য থাকে না।
পেশাদার খেলোয়াড়রা জানে কখন তার পেশাকে সর্বোচ্চ দেওয়ার ক্ষমতা শেষ হয়ে আসে। ভারতের সচিন, সৌরভ, দ্রাবিড়, লক্ষণ, সেহবাগ একসময় বিদায় নিয়েছে। বিদায় নিলো বিরাট, রোহিত। নতুনের পদচারণায় মুখরিত হবে ভারত ক্রিকেট। জাসোয়াল সিংহ, সানজু স্যামসন, সুর্য কুমার যাদব, রিশভ পান্ত, হার্দিক পান্ডিয়ারা হাল ধরবে।
বাংলাদেশকেও প্রজন্মের পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে হবে। ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মোট বিসিবিতেও প্রজন্মের পরিবর্তন জরুরি। ব্যর্থ কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় সরে না গেলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে হবে। পরিবর্তন না হলে উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে থাকবে।