এমবাপ্পে ফেরায় উজ্জীবিত ফরাসি কোচ দেশ্যম

নাক ভেঙ্গে যাবার পর এক ম্যাচ পরে আবারো মাঠে ফেরায় কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশ্যম। কাল পোল্যান্ডের সাথে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে ফ্রান্স। স্পট কিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন এমবাপ্পে।

ডর্টমুন্ডে অনুষ্ঠিত  ম্যাচের পর দেশ্যম বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পে মাঠে ফিরেছে। দূর্ঘটনার পর মাত্র তিনদিনের মধ্যে মাঠে ফেরা তার জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু আমি মনে করি সে ভালভাবেই সেড়ে উঠেছে, মাঠেও সে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছে।

যদিও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এমবাপ্পেকে মাস্ক পরে খেলতে হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি থেকে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। কিন্তু রবার্ট লিওয়ানদোস্কির পেনাল্টির গোলে দ্রুতই সমতায় ফিরে পোল্যান্ড।

এর আগে গত শুকবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফ্রান্সের গোলশুন্য দ্বিতীয় ম্যাচটিতে খেলেননি এই রিয়াল মাদ্রিদ তারতা। ১৭ জুন অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের সাথে আঘাতে তার নাক ভেঙ্গে গিয়েছিল।

দেশ্যম বলেছেন, ‘মাস্ক পড়ে খেলার সাথে সে মানিয়ে নিয়েছে। তবে মুখ ঘেমে গেলে তা কিছুটা সমস্যায় ফেলছে। যদিও সব বাঁধাকে অতিক্রম করেই এমবাপ্পে কাল মাঠে ছিল। আশা করছি আগামী ম্যাচে সে আরো ভাল খেলতে পারবে।’

অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ গ্রুপ-ই রানার্স-আপ দল। রোমানিয়া, বেলজিয়াম, স্লোভাকিয়া কিংবা ইউক্রেনের মধ্যে যেকোন একটি দলের ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ হবার সমান সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি ফাইনালের আগে ফ্রান্সের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা যেতে পারে পর্তুগাল, স্পেন কিংবা জার্মানিকে।

এবারের আসরে এখনো পর্যন্ত ফরাসি স্ট্রাইকার গোলখরা কাটাতে পারেনি। এমবাপ্পের পেনাল্টির আগে একটি মাত্র গোল নিজেদের নামের পাশে যোগ করেছে ফ্রান্স, তাও আবার আত্মঘাতি।

গ্রুপ পর্ব শেষে দলের সার্বিক পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে দেশ্যম বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কি আমি মোটেই হতাশ নই। আমরা গ্রুপের শীর্ষ দল হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। আমাদের গ্রুপটা বেশ কঠিন ছিল। আমরা অস্ট্রিয়াকে হারিয়েছি, কিন্তু তারা এক নম্বর হিসেবে পরের রাউন্ডে গেছে। আমরা জানি এখন থেকে নতুন করে আবারো প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। যদিও এখনো আমরা জানি না পরের রাউন্ডে আমাদের প্রতিপক্ষ কে।’

ডর্টমুন্ডে কালকের ম্যাচে পোলিশ গোলরক্ষক লুকাস স্কোরুপস্কি ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়ী হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন দেশ্যম, ‘প্রথমার্ধে আমরা পাঁচটি ভাল সুযোগ পেয়েছিল। এখানে নির্ভুলতার কোন অভাব ছিলনা। প্রতিবারই গোলরক্ষক আমাদের আক্রমনগুলো রুখে দিয়েছে। কিন্তু অবশ্যই আমারের জয়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। আরো গোল আমরা করতে পারতাম।’

মূল একাদশ থেকে আঁতোয়ান গ্রিজম্যানকে বাদ দেবার বিষয়ে দেশ্যম বলেন, এখানে অন্য কোন বিষয় নেই। আমি শুধুমাত্র প্রথম পছন্দকে বেছে নিয়েছি। পোল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে আরো বেশী আগ্রাসী হয়ে খেলানোর চেষ্টা করেছি।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

one × 4 =