ভারতের জাতীয় গ্রিডে ১০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট. ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে কুদানকুলাম এনপিপি

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের সহায়তায় নির্মিত কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম দুটি ইউনিট থেকে ভারতের জাতীয় গ্রিডে এখন পর্যন্ত মোট ১০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট. ঘন্টা সরবরাহ করা হয়েছে। দশ বছর যাবত এই ইউনিট দুটি দক্ষতা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে।

বর্তমেনে ইউনিট দুটি রুটিন মোডে পরিচালিত হচ্ছে এবং এগুলোর দক্ষতা রেটেড ভ্যালুর চেয়ে বেশি। কুদানকুলাম এনপিপি’র এই দুটি ইউনিট চালু হবার পর প্রতি বছর ১৬ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। ভারতের ৫০ মিলিয়ন পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

বর্তমানে রসাটমের সহায়তায় প্রতিটি ১,০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ৪টি ইউনিট নির্মানের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এগুলোর, স্টার্টআপের পর দেশটির পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

এতমস্ত্রয়এক্সপোর্ট এর ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট (কন্সট্রাকশন) আলেক্সি ঝুকভ জানান, “পরীক্ষিত ডিজাইন ও নির্ভরযোগ্য ইক্যুইপমেন্ট এর ব্যবহার, উচ্চমানের নির্মান কাজ এবং স্থাপন ও কমিশনিং এর ফলে কুদানকুলাম এনপিপি’র অপারেশন দক্ষতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। ডিজাইন থেকে অপারেশন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে রুশ এবং ভারতীয় বিশেষজ্ঞারা যৌথভাবে কাজ করেছেন। প্রত্যেকেই তাদের এক্সপার্টাইজ প্রমান করার ফলে এমন একটি কমপ্লেক্স ও দক্ষ স্থাপনা নির্মান সম্ভব হয়েছে যা মান ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কঠিনতম চাহিদাগুলো পুরণে সক্ষম”।

রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে ১৯৮৮ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান সংক্রান্ত একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি এবং ১৯৯৮ সালের সংযোজনীর অধীনে কুদানকুলাম এনপিপি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটিতে ৬টি পাওয়ার ইউনিট নির্মিত হচ্ছে যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,০০০ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশের রূপপুরেও রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় দুই ইউনিট বিশিষ্ট একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের শেষের পর্যায়ে রয়েছে। ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১,২০০ মেগাওয়াট।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × 4 =