৪০ পেরিয়ে ৪১ বছরে পা দিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ

ঢালিউডের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। ইন্ডাস্ট্রির পরিশ্রমী এবং সাহসী নায়িকাদের একজন তিনি। আজ তার জন্মদিন। উইকিপিডিয়ায় থাকা তার ব্যক্তিগত তথ্য বলছে, ১৯৮৪ সালের ৯ জুন কুমিল্লার জালগাঁওয়ে জন্ম হয় অভিনেত্রীর। সেই হিসেবে তিনি ৪০ পেরিয়ে ৪১ বছরে পা দিলেন।

দেশ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৯৯ সালে রাশিয়ায় চলে যান নিপুণ আক্তার। দেশটির রাজধানী মস্কোতে তিনি ২০০৪ সাল পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে ২০০৬ সালে ফিরে আসেন দেশে। ওই বছরই নাম লেখান অভিনয়ে।

এই অভিনেত্রীর ৪১তম জন্মদিনে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার সহকর্মী তারকারা। জন্মদিনে কখনোই তিনি তেমন কোনো আয়োজন করেন না। দিনটি পরিবারের সঙ্গেই ঘরোয়াভাবে উদযাপন করেন।

২০০৬ সালে ‘রত্নগর্ভা মা’ ছবিটির মাধ্যমে নিপুণের চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয়। যদিও সে ছবিটি আজও মুক্তি পায়নি। তাই একই বছর মুক্তি পাওয়া এফ আই মানিক পরিচালিত ‘পিতার আসন’কে নিপুণের অভিষেক ছবি হিসেবে ধরা হয়।

পরের বছরই শাহ আলম কিরণ পরিচালিত ‘সাজঘর’ ছবিটিতে অভিনয় করে ক্যারিয়ারের প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি পেয়ে যান এই নায়িকা। ওই ছবিতে তার সহশিল্পী ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও প্রয়াত নায়ক মান্না।

এরপর ২০০৯ সালে মহম্মদ হান্নানের ‘চাঁদের মত বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন নিপুণ। সে ছবিতে নিপুণের সহশিল্পী ছিলেন তখনকার সুপারহিট জুটি রিয়াজ ও শাবনূর। যদিও দুটি পুরস্কারই নিপুণ অর্জন করেন পার্শ্বচরিত্র ক্যাটাগরিতে।

১৬ বছরের ক্যারিয়ারে অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে। তার বেশিরভাগই ব্যাবসায়িক দিক থেকে সফল।

বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি পার্লারের ব্যবসা রয়েছে নিপুণের। এছাড়া ‘টিউলিপ এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে তিনি একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন। সেখান থেকে একাধিক ছবি প্রযোজনা করেছেন অভিনেত্রী।

এর পাশাপাশি উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের রায় পেয়ে ভোটে না জিতেও গত দুই বছর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন নিপুণ। তবে এবারের নির্বাচনে অভিনেতা ও প্রযোজক ডিপজলের কাছে হেরে সেই দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে নিপুণকে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eleven − ten =