বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ,সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাবের চৌধুরী বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা এবং সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

গতকাল সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

সাবের চৌধুরী আগামী এনডিসি এবং নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী গবেষণা, জ্ঞান ভাগাভাগি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা কামনা করেন।  তিনি প্রস্তাব করেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।

উভয় পক্ষই আসন্ন বহুপাক্ষিক আলোচনা, যেমন, জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিবিডি), ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি), এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমবেটিং ডেজার্টিফেশন (ইউএনসিসিডি) এর সাথে সাথে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় প্লাস্টিক চুক্তি এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

উভয় দেশের মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক সই করার সাথে এগিয়ে যেতে সম্মত হন।

পরে, মন্ত্রী স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জোজো মেহতার সাথে বৈঠক করেন এবং বড ধরনের পরিবেশগত অপরাধ মোকাবেলায় ইতিবাচক অগ্রগতি এবং এই বিষয়ে জাতীয় আইনগুলো উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 × 5 =