কানাডাকে হারিয়ে কোপার তৃতীয় স্থান অর্জন করলো উরুগুয়ে

প্রথমবারের মত কোপায় খেলতে এসে শেষটা রাঙ্গাতে পারলো না কানাডা। আজ কোপার  স্থান নির্ধারনী ম্যাচে পেনাল্টি শ্যুট আউটে উরুগুয়ের কাছে ৪-৩ গোলে পরাজিত হয়ে  আশাভঙ্গ হয়েছে কানাডার । ইনজুরি টাইমে লুইস সুয়ারেজের গোলে উরুগুয়ে সমতা ফেরানোর পর পেনাল্টিতে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে।

শার্লট ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে ৮০ মিনিটে জোনাথন ডেভিডের গোলে কানাডা ২-১ গোলের লিড নেয়। উরুগুয়ে যখন নিশ্চিত পরাজয়ের ক্ষণ গুনছিল ঠিক তখনই খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করেন বার্সেলোনা ও লিভারপুলের সাবেক তারকা সুয়ারেজ। দ্বিতীয়ার্ধে বদলী হিসেবে খেলতে নেমে হোসে জিমিনেজর দারুন এক পাসে অসাধারন ফিনিশিংয়ে ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে উরুগুয়ের পক্ষে ২-২’এ সমতা ফেরান অভিজ্ঞ এ তারকা। শ্যুট আউটে কানাডিয়ান মিডফিল্ডার ইসমায়ের কোনের শট রুখে দেন উরুগুইয়ান গোলরক্ষক সার্জিয়ে রোশে। এরপর আলেফোনসো ডেভিডের  শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসলে জয় নিশ্চিত হয় উরুগুয়ের।

সুয়ারেজের শেষ মুহূর্তের গোলে আগে কানাডা স্মরণীয় এক জয়ের পথে যোগ্য দল হিসেবেই প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই পরাজয় বিশ্ব ফুটবলে উঠতি দল কানাডার জন্য প্রচন্ড হতাশা হয়েই থেকেছে।

ম্যাচের শুরুটা দারুন করেছিল টটেনহ্যাম মিডফিল্ডার রডরিগো বেনটানকার। মাত্র আট মিনিটে সেবাস্তিয়ান কাসেরানের এ্যাসিস্টে বেনটানকারের গোলে জোড়ালো শটে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। কিছুক্ষনের মধ্যেই কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। কানাডার রক্ষনভাগ ভেঙ্গে গোলরক্ষক ডায়নে সেন্ট. ক্লেয়ারকে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাউজো। এই মিস উরুগুয়ের জন্য দুর্ভাগ্য ডেকে আনে।

২২ মিনিটে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে কোনে কানাডাকে সমতায় ফেরান। জ্যাকব শাফেলবার্গের কর্নার থেকে মোয়েস বোমবিটোর হেডে কোনের ফ্লিক ধরার সাধ্য ছিল না রোশের। পরের মিনিটেই উরুগুয়ে আবারো এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফাকুন্ডোর পেলিস্ট্রি গোল অফসাইডের কারনে বাতিল হয়ে যায়। বিরতির আগে কানাডা দুটি সুবর্ন সুযোগ নষ্ট না করলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। ৪১ মিনিটে পোস্টের খুব কাছে থেকে টানি ওলুওয়াসেইর হেড জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। ৪৩ মিনিটে জোনাথন ওসোরিওর শট লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বদলী বেঞ্চ থেকে তাদের সম্ভাব্য সবাইকে মাঠে নামান। আর এতেই ম্যাচের গতি পাল্টে যায়। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে মধ্যমাঠ থেকে কোনে বল নিয়ে দারুন এক শট নিলেও তা রুখে দেন রোশে। কিন্তু ফিরতি বল ডেভিডের কাছে আসলে তিন কোন ভুল করেননি। অর্থাৎ ম্যাচের ৮০ মিনিটে  ডেভিডের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে  যায় কানাডা। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি ছিল। কানাডা তাদের লিড প্রতিরোধ করার থেকে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। আর এই সুযোগে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সুয়ারেজ গোল করে উরুগুয়েকে সমতায় ফেরান।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

7 − five =