কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পরিচালিত ‘ডিয়ার মা’ ছবিটি। সেই ছবির প্রচার করতে ‘এস সি’ নামের এক পডকাস্টে বসেন জয়া। সেখানে তিনি কথা বলেছেন একদম ছোটবেলা থেকে শিল্পী হয়ে ওঠার যাত্রা নিয়ে।
জয়া আহসান বরাবরই মেপে কথা বলেন। নিজের ইমেজ সঠিকভাবে বজায় রাখার বেলায় তার জুড়ি নেই। তাই নিজের চারপাশে একটি অদৃশ্য বলয় তৈরি করে রাখেন, যাতে সবাই সহজে প্রকৃত জয়ার কাছাকাছি না আসতে পারে। এসব কথাই তিনি মনখুলে বললেন সাম্প্রতিক এক পডকাস্টে।
অসম্ভব বিনয়ী জয়া নিজেকে শিল্পীই দাবি করতে চাননি। তবে তিনি শিল্পী হয়ে ওঠার যাত্রার অনেকখানি প্রকাশ করেছেন। যা দেখে দর্শক বাহ বাহ করছেন। মন্তব্যের ঘরে একটিও নেতিবাচক কথা নেই। সবাই বলছে, নতুন করে তারা জয়াকে আবিষ্কার করলেন।
কথোপকথনের এক পর্যায়ে জয়া তার ছোটবেলার এক আবাক করা তথ্য ফাঁস করলেন। তিনি জানান, পড়াশুনায় তিনি একেবারেই ভালো ছিলেন না। কোনমতে টেনেটুনে ৩৩ পেয়ে পাশ করতেন অংকে। তবে সাহিত্য, ভূগোল আর ইতিহাসে তার ছিলো বেশ আগ্রহ।
ছোট বোন কান্তা মাসউদ পড়াশুনায় খুব ভালো ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় রাজধানীর সব বড় বড় স্কুলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু জয়ার কোথাও কিছু হয়নি, তাই তাকে বাধ্য হয়ে ভারতেশ্বরী হোমসে ভর্তি করেন তার বাবা-মা।
অতো ছোট বয়সে বাবা-মাকে ছেড়ে থাকতে জয়ার একটুও কষ্ট হয়নি। তার নাকি ওই কঠিন নিয়মের মধ্যে থাকতেই ভালো লাগতো। একটু ঝোলা গুড় আর একটা রুটির জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেন। পড়াশুনার পাশাপাশি কাপড় কাচা, ঘর পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে বাথরুম পরিষ্কার করা- সব নিজেকেই করতে হতো।
সেখান থেকেই আত্মনির্ভরশীল হতে শেখেন জয়া। যা তার এই পরিণত জীবনেও ভীষণভাবে কাজে লাগে।