ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন থিয়েটারের পারিবারিক আবহে। বাবা অলোক ঘোষ চট্টগ্রামের থিয়েটার অঙ্গনে খুবই পরিচিত মুখ। টিভি নাটক এবং সিনেমার পর্দায় অভিনয় নৈপুণ্যে নজর কেড়েছেন এই অভিনেত্রী। বলছি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষের কথা। আজ ২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) অপর্ণার জন্মদিন।
নায়িকাদের অনেকেই তাদের বয়স লুকাতে পছন্দ করেন। অনেকের ধারণা, বয়স বাড়লে তাদের গ্ল্যামারে কমতি হবে। যদিও আমাদের শোবিজের অনেক তারকার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের গ্ল্যামার আরও বেশি দ্যুতি ছড়িয়েছে। তাদের মধ্যে পূর্ণিমা, জয়া আহসান অন্যতম।
অপর্ণার বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রামের জিইসির মোড় এলাকায় তার বাসা। ২০০৬ সালে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সেরা চারের একজন ছিলেন তিনি। তারপর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে কিছু টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। ২০০৯ সাল থেকে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় স্থায়ীভাবে ঢাকায় থাকা শুরু করেন এই অভিনেত্রী।
২০১৪ সালে অভিনয় করেন জাহিদুর রহিম অঞ্জন পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র ‘মেঘমল্লার’। অভিনয় করেন প্রসূন রহমান পরিচালিত ‘সুতপার ঠিকানা’ সিনেমায়। দুটো সিনেমায় অভিনয় নৈপুণ্যে দারুণ আলোচিত হন অপর্ণা। ‘মৃত্তিকা মায়া’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- দর্পণ বিসর্জন, ভুবন মাঝি।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের ১০ ডিসেম্বর দিনগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুসারে দীর্ঘদিনের বন্ধু সাতরাজিৎ দত্তকে বিয়ে করেন অপর্ণা ঘোষ। চট্টগ্রামে সেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। এই অভিনেত্রীর স্বামী পেশায় আইটি ইঞ্জিনিয়ার। তিনি থাকেন জাপানে।