বেইলি রোডের আগুনে নিহত নারী সাংবাদিকের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তার মরদেহ হস্তান্তর করবে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই নারী সাংবাদিক ফেইসবুক ও কর্মস্থলে নিজেকে পরিচয় দিতেন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে। তবে মৃত্যুর পর বাবা, ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা এসে দাবি করেছেন, আগুনে নিহত সাংবাদিকের নাম বৃষ্টি খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়।
নিহত নারী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামেই ঢাকায় সাংবাদিকতা করতেন। কর্মস্থলেও তার পরিচিত ছিলো অভিশ্রুতি নামেই। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই মরদেহ নিতে খোকসা থেকে ছুটে আসেন তার বাবা সাবরুল আলম সবুজ। তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধনসহ সর্বত্র তার নাম বৃষ্টি। তবে ওই নারী সাংবাদিকের জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরির জন্মবৃত্তান্তে বাবা-মায়ের নামে বিভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া গেছে। তবে স্থায়ী ঠিকানা সব জায়গায় একই।
অভিশ্রুতির মামাতো ভাই নাঈম জানান, জন্ম নিবন্ধন বলেন, এনআইডি, এসএসসি-ইন্টার মিডিয়েটের সনদসহ যা কিছু কাগজপত্র আছে সব সাবমিট করা হয়েছে। এরপরেও কোনো উত্তর পাচ্ছি না। ‘কোথা থেকে একটা জাল জন্ম নিবন্ধন পাওয়া গেছে। এখন কোর্টের থেকে আদেশ আনতে হবে। এরপরে ডিএনএনর নমুনা নেবে,’ আক্ষেপের সঙ্গে বলেন তিনি।
এদিকে অভিশ্রুতির পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা। তিনি বলেছেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করতে রমনা থানা ওসি ও ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর রমনা মন্দির থেকে আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ৪৩ জনের মধ্যে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির মরদেহ আছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে।