অস্ট্রেলিয়ার রানপাহাড়ে চাপা দক্ষিণ আফ্রিকা

দুই সেঞ্চুরি এবং তিন হাফসেঞ্চুরিতে রানপাহাড়ে চড়েছে অস্ট্রেলিয়া। পেয়েছে ৫৭৫ রানের বিশাল সংগ্রহ। অজিদের সেই রানপাহাড়ে চাপা পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে বক্সিং ডে টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের শঙ্কা উঁকি দিয়েছে প্রোটিয়া শিবিরে।

বুধবার (ডিসেম্বর) মেলবোর্নে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫ রান। সারেল এরউই (৭) এবং ডি ব্রায়ানের (৬) ব্যাটে আগামীকাল চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে সফরকারীরা। এর আগে ক্যামেরুন গ্রিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস।

দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য গ্রিনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না টেম্বা বাভুমাদের। আঙুলের চোটে ম্যাচে থাকলেও বোলিং করতে পারবেন না অজি অলরাউন্ডার। তবে তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ইতোমধ্যে ব্যাকফুটে দক্ষিণ আফ্রিকা। বোলিংয়ে ৫ উইকেট শিকারের পর ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন গ্রিন।

টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আনরিচ নর্টজের বলে ডান হাতের তর্জনীতে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হোন গ্রিন। তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে নেমেছিলেন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া আরেক ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু প্রথম বলেই আউট হোন ২০০ রান করা অজি ওপেনার। তাকে শিকার বানান নর্টজে।

ওয়ার্নারকে আউট করার আগে বলে হাফসেঞ্চুরিয়ান (৫১) ট্রাভিস হেডকেও সাজঘরে পাঠান নর্টজে। এই প্রোটিয়া পেসারের জোড়া সাফল্যের পর আঘাত হানেন কাগিসো রাবাদা। তিনি আউট করেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে (৪)। দিনের প্রথম ২০ বলে প্রতিপক্ষের ৩ উইকেটের পতন ঘটিয়ে সেরা শুরুই পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রোটিয়াদের ভালো শুরুটা ফিকে হয়ে যায় অ্যালেক্স ক্যারি এবং গ্রিনের ১১২ রানের জুটিতে। দলের পুঁজি ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তোলার পথে ক্যারি তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত ১১১ রানে মার্কো জ্যানশেনের শিকার হোন তিনি। ক্যারি আউট হওয়ার পর ৮ উইকেটে ৫৭৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।

এরপর দিনের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রানের খাতা খোলার আগেই প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারকে প্যাভিলিয়নে পাঠান অজি অধিনায়ক কামিন্স। ৩৭১ রানে পিছিয়ে থেকে আগামীকাল হার এড়ানোর লড়াইয়ে নামবে সফরকারীরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

19 + 10 =