আজ গীতিকার মুনশী ওয়াদুদের জন্মদিন

গীতিকার মুনশী ওয়াদুদের জন্মদিন আজ। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে গান লেখা শুরু করেন তিনি। স্বাধীনতার পর গীতিকার হিসেবে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৭৬ সালে শুরু করে সিনেমায় গান লেখা। ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘ঘানি’, ‘সাজঘর’সহ অসংখ্য সিনেমায় আছে তার গান। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।

মুনশী ওয়াদুদ মুনশী ওয়াদুদ বাংলা চলচ্চিত্রের একজন প্রতিথযশা গীতিকারের নাম। চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখে যাচ্ছেন। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ভারতীয় শিল্পীদের জন্যও গান লিখেছেন। গান লিখেই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ছোটবেলা থেকেই, যখন কেবল প্রাইমারি ছেড়ে পা রেখেছিলেন হাই স্কুলে, কবিতা লেখার অভ্যাসের পাশাপাশি গান শোনার প্রতি দুবর্লতা তৈরি হয় তার। নানা ভাষার গান শুনে চেষ্টা করতেন সেগুলোর অর্থ বোঝার। একসময় এটাই পরিণত হয় তাঁর প্রতিদিনের রুটিনে। অষ্টম শ্রেণীতে উঠেই কিশোর মুনশী ওয়াদুদ লিখতে শুরু করেন প্রকৃতি, প্রেম ও জীবনের অনুভূতি নিয়ে। আজকের খ্যাতিমান গীতিকার হয়ে ওঠার পেছনের দিনগুলোর কথা মনে করেন তিনি এভাবে, ‘গান লেখার আগে ব্যাকরণ নিয়ে চর্চা করাটা জরুরি। আমি গানের ছন্দ, অন্ত্যমিল ও কাব্যের ব্যাপারে খুব যত্নশীল ছিলাম।’ সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে যাদের লেখা গান প্রশংসিত হয়েছে মুনশী ওয়াদুদ তাঁদের অন্যতম। চলচ্চিত্রের ব্যস্ত দিনগুলোতে গান লিখতে গিয়ে সময়জ্ঞান ভুলে যেতেন এই গীতিকার। লিখেছেন ‘পরিণীতা’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘মনের মতো ভাবী’, ‘সাজঘর’, ‘সুলতান’, সবার উপরে তুমি’, ‘চাচ্চু’ এবং ‘এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে’সহ অনেক ছবির গান। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস, বাংলাদেশ টেলিভিশন পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতের শিল্পীদের জন্যও গান লিখেছেন মুন্শী ওয়াদুদ। এদের মধ্যে রয়েছেন হৈমন্তী শুক্লা, সাধনা সরগম. কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, অনুরাধা পাড়োয়াল, বাবুল সুপ্রিয় অভিজিৎ ও শান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

7 − 5 =