আজ পাকিস্তানের এগিয়ে যাবার পালা

সালেক সুফী

আজ হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে  ইমরান খানের কর্নার্ড টাইগার্স ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী দল মুখোমুখি হবে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলংকা দলের বিরুদ্ধে।  এই মাঠেই প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস দলের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় দিয়ে শুভ সূচনা করেছে পাকিস্তান। শ্রীলংকা কিন্তু দিল্লীর অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে বিপর্যস্ত হয়েছে। আজ জিতলে পাকিস্তান সেমি ফাইনালের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

সেই সূত্রে পাকিস্তান ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে পাকিস্তান-ভারত মহারণের জন্য চাঙা হবে। পাকিস্তান, শ্রীলংকা দক্ষিণ এশিয়ার দুটি সেরা দল।  গত কিছু দিনে সব ফরম্যাটে বেশ কয়েকবার মোকাবিলা করেছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে পাকিস্তান এগিয়ে থাকলেও শ্রীলংকা পাকিস্তানকে এশিয়া কাপ ২০২৩ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর হারিয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তান এখনো সেরা ফর্ম খুঁজে ফিরছে। শ্রীলংকা এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার পর এখনো স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে পারেনি। তবুও আজ মানসম্পন্ন দুটি দলের খেলায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।

পাকিস্তান: বাবর আজম ( অধিনায়ক), ফখর জামান/আব্দুল্লাহ শফিক, ইমাম উল হক, মোহাম্মদ রিজওয়ান।  সাউদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নাওয়াজ/উসামা মীর, হাসান আলী, হারিস রউফ এবং শাহীন শাহ আফ্রিদি।

পাকিস্তানের কিন্তু মূল সংকট ফখর জামান এবং ইমাম উল হকের ফর্মহীনতা।  জানিনা আজ আব্দুল্লাহ শফিককে খেলানো হবে কি না। আর একটি দুর্বলতা ৫ম বোলার।  নাসিম শাহর অনুপস্থিতি হাসান আলী অনেকটা পুষিয়ে দিলেও শাদাব খান বা মোহাম্মদ নওয়াজ এখনো ম্যাচ জয়ী মনে হচ্ছে না।

বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান প্রতি ম্যাচে রান পাবে না। আজ ওপেনিং জুটিতে রান পেতে হবে ইফতিখার, সাদাবকে জলে উঠতে হবে। হায়দ্রাবাদ উইকেটে রান আছে, ২৮০-৩০০ রান ডিফেন্ড করতে হলে জয়ী দলকে তুখোড় বোলিং ফিল্ডিং করতে হবে। পাকিস্তান দলের মূল ভরসা শুরুতে শাহীন আফ্রিদি এবং অবশ্যই হারিস রউফ।

শ্রীলঙ্কা: দাশুন শানাকা ( অধিনায়ক), পিথুন নিশাঙ্কা, দিমুথ করুণারাত্না, কুশল মেন্ডিস, চারিথ আসালংকা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, সাদীরা সামারাভিক্রামা, দিনুথ ওয়ালালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাথীরা পাথিরানা/লাহিরু কুমারা, দিলশান মধুশঙ্কা/কাশুন রাজিথা।

শ্রীলংকা দলটি এখন নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে গড়া একটা লড়াকু দল।  বেশ কিছু মেধাবী তারুণ্যের পাশাপাশি কিছু উঁচু মানের উদীয়মান তরুণ আছে। এশিয়া কাপে পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভালো খেলে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখী হয়েছে। কিন্তু সেই ম্যাচে বিদ্ধস্ত হওয়ার ধকল সামাল দিতে না দিতেই প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার তুখোড় বাটিংয়ের মোকাবিলায় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ৪২৮/৫ বিশাল স্কোর তাড়া করে বীরের মত যুদ্ধ করে ৩২৬ করাটাও প্রশংসার দাবি রাখে। আজ কিন্তু কুশল মেন্ডিস, করুনারত্নে, আসালংকা, সামারাভিকরামা, ধনঞ্জয়া দি সিলভা এদের অন্তত দুইজনকে লম্বা ইনিংস খেলতে হবে।

প্রথমে ব্যাট করলে অন্তত ৩০০ রানের টার্গেট দিতে হবে। তাহলে পাথিরানা, ওয়ালালাগে, থিকসানা বা হাসারাঙ্গা হয়তো পাকিস্তানিদের কোনঠাসা করে জয় ছিনিয়ে আনতে পারবে, না হয় কিন্তু সেমি ফাইনাল দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পর্বে রানাতুঙ্গা, জয়াসুরিয়ার উত্তরসূরিরা।

সালেক সুফী: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া বিশ্লেষক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

20 − eighteen =