সালেক সুফী
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে পাচঁ ম্যাচ টি ২০ সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ অনেকটা অনায়েসে জিতে নিয়ে সিরিজ জিতেছে। দুই দলের বর্তমান অবস্থানের বিবেচনায় নিতান্ত অঘটন না ঘটলে বাংলাদেশ সিরিজ ধবল ধোলাই করবে । উপরন্তু আজ একাদশে যুক্ত হচ্ছে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান এবং সৌম্য সরকার। চট্টগ্রামে থাকা স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে পারভেজ ইমন এবং আফিফ হোসেনকে কোন সুযোগ না দিয়ে স্কোয়াড থেকে ছেটে ফেলা হলো। শরিফুলের ওয়ার্ক লোড ম্যানেজ করার জন্য বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। পারভেজ ইমন এবং আফিফকে কোনো সুযোগ না দিয়ে বাদ দেয়া কতটা বিবেচনা প্রসূত হলো বুঝা গেলো না।
সাকিব এবং মুস্তাফিজের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে দলের ভারসাম্য অনেক সুসংহত করবে। সিরিজের শুরুতে আনফিট থাকা সৌম্যকে তার বহুমুখী ব্যবহারের বিষয়টি মাথায় রেখে দলে ফেরানো হয়েছে। লিটন অনিশ্চিত ফর্মে, শান্তর ব্যাটেও রান খরা। তাই হয়তো সৌম্যকে টপ অর্ডারে যাচাই করা হবে। যদি লিটন সৌম্য দুইজনই ব্যার্থ হয় তাহলে কিন্তু পারভেজ ইমনকে যাচাই করার সুযোগ থাকবে না। টপ অর্ডারে সাকিব ফিরে আসায় আফিফকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে আমি মাহেদীকে বিশ্রাম দিয়ে মেহেদী মিরাজকে ম্যাচ অনুশীলন করানো যুক্তিযুক্ত হবে মনে করি। যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটে অভিজ্ঞ মেহেদী মিরাজের চৌকষ নৈপুণ্য কাজে লাগবে মনে করি।
বাংলাদেশ কিন্তু তিন ম্যাচে টপ অর্ডারে ভালো ব্যাটিং করেনি। বিশেষত লিটন কুমার দাস ছিল পুরোপুরি ব্যার্থ। নাজমুল শান্তর ব্যাট কথা বলছে না। আরো একটি সমস্যা শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলাররা চাপ ধরে রাখতে পারেনি। সাকিব এবং মুস্তাফিজ ফিরে আসায় এই অবস্থার পরিবর্তন হবে মনে করি। অবশ্য টি ২০ ক্রিকেটে নিশ্চিত করে কিছু বলা বোকামি।
সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে বাকি দুটি ম্যাচ সহজ জয় করে সিরিজ ৫-০ জিতে নিতে বাংলাদেশের বেগ পাওয়ার কথা না। তবে এই সিরিজ খেলে বাংলাদেশের বিশ্ব কাপ প্রস্তুতি কতটা যুৎসই হলো সেটি প্রশ্ন থেকেই যাবে। বর্তমান জিম্বাবুয়ে দল বিশ্বকাপে খেলা প্রায় সব দল থেকেই দুর্বল। আমি মনে করি বাংলাদেশ ১৫ জন মূল স্কোয়াড চার অন্তত ৩-৪ জন ট্রাভেল রিজার্ভ নেয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি ম্যাচ খেলার পর স্কোয়াড পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।
সালেক সূফি, ক্রীড়া লেখক