সালেক সুফী
প্রতীক্ষার ভরা পেয়ালা উপচে পড়ছে। ঘরের পাশে আরশী নগরে পড়শীর বসতিতে আজ বাংলাদেশের ক্ষুদার্থ টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে. প্রতিপক্ষ চির চেনা কাবুলিওয়ালাদের দল আফগানিস্তান। জয় দিয়ে শুরু করতে চাইবে দুটি দল। নিকট অতীতে ওদের সঙ্গে বাংলাদেশের জয় পরাজয় দুটির অভিজ্ঞতা আছে। গা গরমের দুটি ম্যাচের একটিতে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে দাপুটে জয় পেলেও অন্যটিতে সহজেই হেরে গেছে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের কাছে। আফগানিস্তানও বড় জয় পেয়েছে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে। উপরন্তু ভারত কিন্তু আফগানিস্তানের দ্বিতীয় দেশ. ক্রিকেট দল এখানে নিয়মিত অনুশীলন করে. বেশ কয়েকজন আফগান নিয়মিত আইপিএল খেলে থাকে। সেই সূত্রে নানা নাটক বিতর্কে কিছুটা বিপর্যস্ত থাকা বাংলাদেশের জন্য আজকের ম্যাচটি সহজ হবে না মোটেও। কিন্তু প্রতিভাবান নবীন এবং অভিজ্ঞ উঁচু মানের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ চুলচেরা বিশ্লেষণে এগিয়ে আছে বলতেই হবে.
তরুণ তানজিদ হাসান তামিম দুটি উঁচু মানের ইনিংস খেলে ভরসা জুগিয়েছে। উষ্ণ শীতল ফর্মে থাকা লিটন দাসকে আজ জলে উঠতেই হবে. আশা আছে নাজমুল শান্ত নিজের নামের প্রতি সুবিচার করবে। অধিনায়ক সাকিব কিন্তু অনেকটা স্বেচ্ছায় এবং শেষ পর্যন্ত কিছুটা আনফিট থাকায় অনেকগুলো ম্যাচ খেলে নি. জানিনা বিশ্ব কাপের মত আসর সামনে রেখে এভাবে বিশ্রাম নেয়া কতটা সঙ্গত। ভরসা আছে দুজন বিশ্ব মানের পরিণত পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রাহিম আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দলে থাকায়। আমি মেহেদী মিরাজ এবং তাওহীদ হৃদয়ের উপর ভরসা রাখতে চাই। প্রথমে ব্যাটিং করলে অবশ্যই বাংলাদেশকে ৩০০ + রান করতে হবে. ধর্মশালা উইকেট পেস বান্ধব হবে. ফজল হক ফারুকী ,নাভিদ উল হকের পাশাপাশি বাউন্সি উইকেটে কিন্তু রাশিদ -মুজিব ঘাতক হতে পারে।
ভরসা আছে তাসকিন ,মুস্তাফিজ ,শরিফুলের উপর. জানিনা সাকিব ,মেরাজ কতটা সহায়তা পাবে উইকেট থেকে। গুরবাজ , ইব্রাহিম জাদরান ,রাহমাত শাহ ,মোহাম্মদ নবী কিন্তু ভালো ফর্মে আছে. তবু মনে করি বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ৬০:৪০. একটি জয় কিন্তু বাংলাদেশকে টুর্নামেন্টে অনেক গতিময়তা দিবে। ছুটির দিন টীম টাইগার্স সবার সময়কে রাঙিয়ে দিক আশায় আশায় থাকবো।