আফগানিস্তানকে ১২৬ রানেই আটকে দিলো বাংলাদেশ

টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান। তবে তাদের জুটি আগের ম্যাচের মতো বড় হতে দেননি শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের লেংথে পড়া ডেলিভারি বেরিয়ে যাওয়ার সময় ইব্রাহিমের ব্যাটে এজ হয়। মুশফিকুর রহিম সহজে ক্যাচ নিলে মাত্র ১ রানে ফিরে যেতে হয় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ানকে।

তিনে নেমে নিজের তৃতীয় বলেই আউট হতে পারতেন রহমত শাহ। লিডিং এজ হয়ে গালিতে ক্যাচ উঠলেও ডাইভ দিয়ে সেটা ধরতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে পরের বলেই রহমতকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের বাউন্সারে এজ হয়ে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

আগের ম্যাচে ১৪৫ রান করে বাংলাদেশকে দারুণভাবে ভুগিয়েছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তবে এদিন আর ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে বড় ইনিংস খেলতে দিলেন না তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক করতে না পারায় ক্যাচ চলে যায় মুশফিকের কাছে। খানিকটা লাফিয়ে উঠে ক্যাচ লুফে নিলে গুরবাজ ফেরেন ৬ রান করে।

প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি শরিফুল ইসলাম। মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দেয়ায় সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে জায়গা মিলেছে তার। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করছেন বাঁহাতি এই পেসার। শরিফুলের আগুনে বোলিংয়ে রীতিমতো পুড়ছে আফগানিস্তান। ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমত শাহর পর মোহাম্মদ নবিকেও ফেরালেন তিনি।

বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বল ভেতরে ঢুকছিল, ক্রস ব্যাটে পুশ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন। বল তাতে আঘাত হানে নবির প্যাডে। জোরালো আবেদন করতেই আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। রিভিউ নিলেও শেষরক্ষা হয়নি ৯ বলে ১ রান করা নবির।

মাত্র ১৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর খানিকটা দেখেশুনেই খেলার চেষ্টা করছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও হাশমতউল্লাহ শাহিদী। তবে সাকিব আল হাসানের বলে সুইপ করতে গিয়ে যেন বিপদ ডেকে আনলেন নাজিবুল্লাহ। বলের লাইন মিস করলে বল আঘাত হানে প্যাডে। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি ১০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটারের।

দ্রুত উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশের বোলারদের আক্রমণ করার চেষ্টা করছিলেন হাশমতউল্লাহ। তবে তাকে বিধ্বংসী হতে দেননি তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন আফগান অধিনায়ক। হাশমতউল্লাহ আউট হয়েছেন ২২ রান করে।

নিজের প্রথম স্পেলে আফগানিস্তানের টপ অর্ডারে ধস নামিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আবারও উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। বাঁহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করেছিলেন আব্দুল রহমান। ডিপ ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে তাইজুল ক্যাচ লুফে নিলে সাজঘরে ফিরতে হয় ৪ রান করা আব্দুলকে।

মূলত ওমরজাইয়ের ইনিংসেই একশ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৭১ বলে ৫৬ রানে শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন তিনি। শেষদিকে আব্দুল রহমান ২০ বলে ৪, জিয়াউর রহমান ৩০ বলে পাঁচ এবং মুজিব উর রহমান ৩৪ বলে ১১ রান করেন।

লোয়ার অর্ডারের এই দাপটই আফগানদের ৪৬তম ওভার পর্যন্ত মাঠে রাখে। বাংলাদেশের হয়ে ২১ রান খরচায় চার উইকেট নেন শরিফুল, দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন এবং তাইজুল। একটি করে উইকেট নেন সাকিব ও মিরাজ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × three =