আফসানা মিমির জন্মদিন আজ

একজন পারদর্শী অভিনয়শিল্পী, দক্ষ নির্মাতা ও সংগঠক আফসানা মিমি । বর্তমানে  ক্যামেরার পেছনেই বেশি কাজ করছেন তিনি। আজ এ অভিনেত্রীর জন্মদিন।আফসানা  মিমির জন্ম ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর। বাবার নাম সৈয়দ ফজলুল করিম। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতেন। মা শিরীন আফরোজ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই অভিনেত্রী পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

নব্বই দশকে মিমির অভিনয়ের অভিষেক হয়েছিল বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে। অভিনেতা ও নির্দেশক সৈয়দ মাহিদুল ইসলামের ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে অংশ নেন ‘রাজদর্শন’ নাটকে। মনোজ মিত্রের লেখা সেই নাটকে তিনি রানির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তখন তার বয়স ১৮। তারপর থেকে নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবে মঞ্চে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন।

গাজী রাকায়েতের হাত ধরে পরবর্তীকালে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন। নাগরিকের হয়ে প্রথম মঞ্চে উঠেছিলেন শেক্সপীয়রের ‘হ্যামলেট’ অবলম্বনে আলী যাকেরের রচনা ও নির্দেশনায় ‘দর্পণ’ নাটকের কোরাস দলের একজন হয়ে। পরে অভিনয় করেন ‘নূরুলদীনের সারাজীবন’, ‘দর্পণে শরৎশশী’, ‘ঈর্ষা’ প্রভৃতি নাটকে।

সেই সূত্র ধরেই টিভিতে প্রবেশ। ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘বন্ধন’, ‘ডল’স হাউজ’, ‘কাছের মানুষ’ ইত্যাদি নাটকে মিমির অভিনয় উজ্জ্বল হয়ে আছে। তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। ১৯৯২ সালে আজিজুর রহমানের ‘দিল’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। তারপর ‘নদীর নাম মধুমতি (১৯৯৪)’, ‘চিত্রা নদীর পাড়ে (১৯৯৯)’, ‘প্রিয়তমেষু (২০০৯)’ ছবিগুলোতে তার দেখা মিলেছে।

আফসানা মিমি নির্মাতা হিসেবেও আলাদাভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। তার পরিচালনায় ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ ধারাবাহিক নাটকটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায় এটিএন বাংলায় প্রচার হলে। তিনি ‘মনের কথা’ নামের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

20 − 1 =