আজ শুক্রবার দুপুর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমে ফেইসবুক ব্যবহার করা যাচ্ছে। ব্যবহার করা যাচ্ছে টেলিগ্রাফ যোগযোগ মাধ্যম। তদবে এখন ব্রডব্যান্ড ইন্টানেট ব্যবহার করে এগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে। ফলে আবার শংকা দেখা দিয়েছে গত বুধবার চালু করার পর আবারও কী বন্ধ হতে যাচ্ছে ফেইসবুক সহ মাধ্যম।
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনায় জেরে এখন দেশে অস্থিতিশীলতা চলমান। চলছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। শুক্রবার ছুটির দিনেও রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ছাত্র-জনতা-অভিভাবকদের গণমিছিল!
বৃহস্পতিবার রাত থেকে সারাদেশে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিলো ইন্টারনেটে গতি। দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটির বেশি। তবে ফেসবুক মোবাইল ডেটায় বন্ধ থাকলে আবারও বাড়বে ভিপিএনের ব্যবহার। সেটি ইন্টারনেটের গতির ওপর প্রভাব ফেলবে।
জনপ্রিয় একাত্তর টেলিভিশন অন লাইন জানাচ্ছে, ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রতে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই সীমিত পরিসরে ফেরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। ১০ দিন পর গেল ২৮ জুলাই চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট।
কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছিল টিকটকও। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন তিনি। ই–মেইলে ব্যাখ্যা দেয় ইউটিউব। ব্যাখ্যা দিয়েছিল টিকটকও।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-মিছিল-অবরোধরাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-মিছিল-অবরোধ
আন্দোলনের মধ্যে ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবের কাছে কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল সরকার। এই বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৬ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ফেসবুক সরকারের অনুরোধের বিপরীতে ১৩ শতাংশ এবং ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ শতাংশের বেশি কনটেন্ট সরিয়েছে। ইউটিউব ১৭ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সরিয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। টিকটক থেকে সরানো হয়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।
বুধবার সামাজিক মাধ্যম খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই দুপুরের দিকে সচল হয়েছিল ফেসবুক।