আরবাজ খান ঢাকায়, সমবেদনা জানালেন বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের

ধানমন্ডির ১৬ নম্বর রোডের (পুরান ২৭) ৩৬ নং বাড়ির সামনে দীর্ঘ লাইন। লাইনে যারা দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁরা প্রায় সবাই সালমান খানের ভক্ত। শুক্রবার সালমানের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘বিইং হিউম্যান’ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের নতুন শাখা খুলেছে ধানমন্ডিতে। ইফতারির পর উদ্বোধন। উৎসাহী মুখগুলো তাই কেউ দুপুর থেকে, কেউ বিকেল থেকে অপেক্ষা করছেন। বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। সবার অপেক্ষা বলিউড অভিনেতা আরবাজ খানের জন্য।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিইং হিউম্যান ক্লথিং আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশে। উদ্বোধন করতে তখন ঢাকায় এসেছিলেন সালমানের ভাই অভিনেতা সোহেল খান। এক বছরের মাথায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠানটির আরও দুটি নতুন শাখা খোলা হচ্ছে। উদ্বোধন করতে এবার বাংলাদেশে এলেন সালমানের আরেক ভাই অভিনেতা আরবাজ খান। ধানমন্ডির নতুন আউটলেটে তাঁর আসার কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টায়। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে ঘড়িতে রাত ৮টা বেজে গেলেও আরবাজের দেখা নেই। এদিকে আউটলেটের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সবারই ইচ্ছা, প্রিয় তারকার ফ্যাশন ব্র্যান্ড থেকে প্রথম দিনই কিছু কিনবেন, আর আরবাজ খানকে এক নজর দেখবেন।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে এলেন আরবাজ। ফিতা কেটে শুরু করলেন বিইং হিউম্যান ক্লথিংয়ের ধানমন্ডি শাখার যাত্রা। হিন্দিতেই বললেন, ‘হ্যালো ঢাকা, কেমন আছেন সবাই? দেরি হওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। সকাল ৬টার ফ্লাইটে মুম্বাই থেকে রওনা দিয়েছি। ঢাকায় এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে এখানে পৌঁছাতে অনেকটা দেরি হয়ে গেল।’ এরপর সোজা আউটলেটে ঢুকে গেলেন আরবাজ। দশ মিনিট পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেরিয়ে এলেন।

উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে বাংলায় বললেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। এই একটি বাংলা বাক্যই জানেন আরবাজ। বললেন, ‘এর আগেও একবার বাংলাদেশে এসেছিলাম। তবে অল্প সময়ের জন্য। এবারও হাতে খুব কম সময় নিয়েই এসেছি। পরেরবার ইচ্ছা আছে আরেকটু বেশি সময় নিয়ে আসার। যাতে দেশটা ঘুরে দেখতে পারি।’

বাংলা সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছার কথা জানিয়ে আরবাজ বললেন, ‘এখন তো বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতারা একসঙ্গে কোলাবোরেট করছেন। বাংলা সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা আমার আছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করে সাবজেক্টের ওপর। আমি অভিনয় করতে পারি, এমন কোনো চরিত্র যদি পাই, তাহলে অবশ্যই শুটিং করার জন্য এখানে চলে আসব।’

কিছুদিন আগে বঙ্গবাজারে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা ঢাকায় এসে শুনেছেন আরবাজ। এ ঘটনায় সমবেদনা প্রকাশ করলেন তিনি। বিইং হিউম্যানের তরফ থেকে সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কোনো সহযোগিতা করা যায় কি না, সেটি নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও কথা দিলেন আরবাজ খান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

11 − 6 =