আলোচনায় আইফোন ১৩: থাকতে পারে নতুন পাঁচ বৈশিষ্ট্য

অ্যাপল সচরাচর আইফোনের নতুন মডেল উন্মোচন করে সেপ্টেম্বর মাসে। প্রতিবারের মতো এবারও নতুন মডেল নিয়ে প্রযুক্তি বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে নানা গুজব। এর মধ্যে কোনটি সত্যি প্রমাণিত হবে, আর কোনটি নয়, সেটি চিহ্নিত করা নেহায়েতই কঠিন কাজ।

গেল বছর আইফোন ১২-তে বাহ্যিক নকশার পরিবর্তন, ৫জি আর ম্যাগসেইফ ছাড়া উল্লেখযোগ্য নতুন কিছু যোগ করেনি অ্যাপল। তাই ২০২১-এ এসে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে আইফোন ১৩।

বাজারে আইফোন ১৩ নিয়ে গুজবের অভাব না থাকলেও, দিন শেষে তার বেশিরভাগ সম্ভবত শুধু গুজব হিসেবেই প্রমাণিত হবে। তাই সাবধানতার সঙ্গে আশাবাদী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আইফোন ১৩’র সবচেয়ে প্রত্যাশিত আপগ্রেডগুলোর এক তালিকা প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার।

আরও ছোট নচ

যদিও বাজারের বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোন এখন পাঞ্চ-হোল ব্যবহার করছে এবং কোনো কোনো ফোনে নির্মাতা সেটা ডিসপ্লের নিচে লুকিয়ে রাখার উপায় খুঁজে বের করেছে; আইফোন ১৩ থেকে আলোচিত-সমালোচিত নচ বাদ দিচ্ছে না অ্যাপল।

বাজারের গুজব বলছে, আগের মডেলগুলোর তুলনায় আইফোন ১৩’র নচ হবে আরও ছোট। আইফোনের আগের মডেলের তুলনায় আইফোর ১৩’র নচ ৩০ শতাংশ সংকীর্ণ হবে, এমনটাও বলা হয়েছে ক্ষেত্রবিশেষে।

ডিভাইসের নচের কারণে আইফোন বাজারের অন্যান্য প্রতিযোগীদের তুলনায় অগ্রগতির হিসেবে পিছিয়ে পড়েছে– প্রযুক্তিভক্তদের মধ্যে কেউ কেউ এমনটাও বলছেন। তবে, ফেইস আইডিসহ অন্যান্য আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তির সেন্সরগুলোর কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে আইফোনের নচটি যে গুরুত্বপূর্ণ সেটি অস্বীকার করার উপায় নেই।

সব মডেলের জন্য ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন

ফিচারের হিসেবে অ্যাপলের তুলনামূলক সস্তা মডেল আর প্রো/প্রো ম্যাক্স মডেলগুলোর মধ্যে দূরত্ব ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে বাজারের চলতি গুজবগুলো ইঙ্গিত করছে– যে ফিচারগুলো আইফোন ১২ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স সংস্করণের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো, আইফোন ১৩’র সবগুলো মডেলেই চলে আসবে সেগুলো।

অ্যাপলআইফোন ১৩’র সবগুলো মডেলে হয়তো ব্যয়বহুল টেলিফটো লেন্স থাকবে না; তবে আইফোন ১৩ মিনির আর্টিফিশিয়াল রিয়ালিটি বা এআর সেবাকে সহযোগিতা করার জন্য ‘লিডার ডেপথ-স্ক্যানিং (LiDAR depth-scanning)’ প্রযুক্তি যোগ করা হবে বলে জোর গুজব রয়েছে বাজারে।

আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্সের অপটিকাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন বা ওআইএস প্রযুক্তি আইফোন ১৩’র সবগুলো মডেলে থাকবে, শোনা যাচ্ছে এমনটাও।

কম জায়গা নেবে ব্যাটারি

বলা হচ্ছে ডিভাইসের ভেতর কম জায়গা নেবে আইফোন ১৩’র ব্যাটারি। ব্যাটারি ক্ষমতা বাড়াতে অ্যাপল নমনীয় সার্কিট বোর্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাপল প্রযুক্তি বিশ্লেষক মিং-চি কুও।

ব্যাটারি ক্ষমতা বাড়লে উপকৃত হবেন ব্যবহারকারীরাই। বিশেষ করে ফোনের বয়স বাড়তে থাকলে আর আইওএস-এর নতুন সংস্করণ ইনস্টল করার পর দ্রুত ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার মতো জটিলতা থেকে আংশিক রেহাই মিলতে পারে এর মাধ্যমে।

তবে টেকরেডার বলছে, ব্যাটারির জন্য কম জায়গা লাগলে এর সবচেয়ে ইতিবাচক ফল আসতে পারে বাড়তি ফিচার হিসেবে। ফাঁকা জায়গায় বসতে পারে ইন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বা রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং কয়েল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × 3 =