সালেক সুফী: সবাই হয়তো ভাবছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড কর্পূরের মতো উড়ে গেলো আয়ারল্যান্ড ধোপেই টিকবে না। হতেও পারে কিন্তু নাও তো হতে পারে। সফরকারী আয়ারল্যান্ডে দুটি ম্যাচে সিলেটে দেখে ওদের শক্তিমত্তার আসল পরিচয় মিলেনি। এই দলটি কিন্তু ২০২৩ টি২০ বিশ্বকাপ আসরে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে।
ওরা বাংলাদেশে এসে এখনো উইকেট বা পরিবেশের সঙ্গে সম্পূর্ণ মানিয়ে নিয়েছে বলবো না। তবে টি২০ কিন্তু ভিন্ন আদলের ম্যাচ। সেখানে যে দল যে দিন ছন্দে থাকে থাকে তারাই বাজিমাত করে। গত বিশ্বকাপ প্রমাণ করেছে অন্তত টি২০ ফরম্যাটে বড় দল ছোট দল নেই। নিজেদের দিনে যে কোনো দল যে কোনো দলকে হারাতে পারে। তাই বাংলাদেশকে মোমেন্টাম ধরে রেখে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, জাকের আলী অনিক।
আয়ারল্যান্ড স্কোয়াড
আন্ডি বালবিরনি, হ্যারি টেক্টর, রস আডাযার, গ্যারেথ ডিলানি, পল স্টার্লিং, কার্টিস কাম্ফার, ফিওন হ্যান্ড, ম্যাথিউ হামফ্রেস, লড়কান টাকার, মার্ক আডাযার, গৰ্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, বেঞ্জামিন হোয়াইট এবং ক্রেগ ইয়ং।
বাংলাদেশ জানিনা কি কারণে আফিফ হোসেন এবং নুরুল সোহানকে ছেটে ফেলে দল ঘোষণা করলো। আমি জাকির অনিক এবং রিশাদ হোসেনকে দলে নেওয়া পজিটিভ মনে করি। তবে বেশ কিছু দিন ধরে আফিফকে সাদা বল ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ বিবেচনায় তৈরি করা হচ্ছিলো। ওডিআই স্কোয়াডে রাখার পর কোনো সুযোগ না দিয়েই বাদ দেয়ার পেছনে কি যুক্তি থাকতে পারে।
টি২০ স্কোয়াডে সঙ্গত কারণেই তামিম, মুশফিক নেই। মাহমুদুল্লাকে বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে। আফিফকে বাদ দেয়া মনোপুত হলো না। আমি সোহানকে রাখার পক্ষপাতী ছিলাম এই ভেবে যে এই স্কোয়াডের বাটিংয়ের অন্যতম মূল স্তম্ভ লিটন। ওকে উইকেট কিপিং মনোযোগ দিতে হলে সমস্যা হতে পারে।
জাকের কিন্তু এখনো পরীক্ষিত না। হয়তো হাতুরাসিংহে ওকে পরখ করতে চাইছেন। শান্ত, লিটন দুর্দান্ত ফর্মে আছে। ভালো শুরু করেছে হৃদয়। কিন্তু সব দিন সবার সমান যাবে না। আমি মনে করি আফিফকে রাখা উচিত ছিল। রনি, শামীম নিজেদের এখনো প্রমাণ করেনি।
এতো কিছুর পরেও বাংলাদেশ ফেভারিট হিসাবেই শুরু করবে। নিজেদের সেরাটি দিয়ে খেললে সিরিজ জয় এমনকি ধবল ধোলাই অর্জন হতে পারে। আইরিশরা কিন্তু মরণ কামড় দিবে।