সালেক সুফী
ঈদের ছুটির সময় দেশের অধিকাংশ গ্যাস ব্যাবহারকারী শিল্পকারখানা বন্ধ থাকায় গ্যাস চাহিদা কম ছিল। নগরী মহানগরী ছেড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামে ঈদ পালন করতে যাওয়ায় বিদ্যুৎ চাহিদা কম ছিল। বিদ্যুৎ জ্বালানি সেক্টর সুযোগ পেয়েছিলো নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার। এই সময়ের মাঝে কক্সবাজারের উপকূলে স্থাপিত দুটি ভাসমান টার্মিনাল একসঙ্গে কাজ শুরু করায় গ্যাস গ্রিডে স্বস্তি আসে।
আবার এই অবসরে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করা গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানার কিছু জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সেরে নেয় শেভরন। আমদানিকৃত এলএনজি সহ গ্যাস গ্রিডে এখন গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতা ৩০০০-৩১০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এফএসআরইউ দুটি থেকে ৯৫০+ ঘনফুট হারে আরএলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিবিয়ানা থেকে গ্যাস উৎপাদন সীমিত রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে সর্বোচ্চ ৩০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে চট্টগ্রাম বিতরণ এলাকায় থাকা কাফকো এবং সিইউএফএলকে পুনরায় উৎপাদনে ফেরাতে হবে। কিন্তু ওদের কাছে বিপুল পরিমাণ গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় পেট্রোবাংলা গ্যাস সরবরাহ করতে অনিচ্ছুক।
অন্যদিকে পূর্ণক্ষমতার আরএলএনজি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ঘুরা পথে গ্যাস বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড থেকে আশুগঞ্জে এনে কম্প্রেসর স্টেশন চালু করতে হবে। নানা কারণে জিটিসিএল এই মুহূর্তে কম্প্রেসর স্টেশন চালু করতে অনীহা প্রকাশ করছে।
এই গরমের সময় বাড়তি বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎকে ১৩৫০-১৪০০ মিলিয়ন গ্যাস নিয়মিত সরবরাহ করতেই হবে। এর ফলে কোনো দ্বিধার অবকাশ নাই। আশা করি দ্রুত জ্বালানি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকরী ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। সংকট থাকবেই কিন্তু সতর্ক থাকলে সহনীয় রাখা যাবে।