‘একেনবাবু’র লেখক সুজন দাশগুপ্তর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে লেখকের কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। লেখকের দেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বাংলার জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ‘একেনবাবু’র স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্ত। দীর্ঘ সময় ধরে বিদেশে থাকেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন ‘একেনবাবু’র নতুন বই প্রকাশ করতে। জানা গিয়েছে, সার্ভে পার্ক উদিতা আবাসনে ফ্ল্যাট রয়েছে সুজন দাশগুপ্তর। সেখানেই ছিলেন আশি বছরের লেখক। তার স্ত্রী মঙ্গলবারই শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন। ফলে লেখক ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন বলে শোনা গিয়েছে।
বুধবার সকাল দশটা নাগাদ সুনীতা ঘোষ নামের পরিচারিকা এসে লেখকের ফ্ল্যাটের বেল বাজান। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকিও করেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাননি। বিপদ বুঝে তিনি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে খবর দেন। নিরাপত্তারক্ষীও দরজা খুলতে ব্যর্থ হন। এরপরই সুজনবাবুর শ্যালক ও স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, পুলিশ আসার আগেই সুজনবাবুর আত্মীয় ও নিরাপত্তারক্ষীরা দরজা ভেঙে ফেলেন। ভিতরে ঢুকে তারা আশি বছরের লেখকের মৃতদেহ দেখতে পান। শোয়ার ঘরের বাথরুমের বাইরে লেখকের দেহ পড়েছিল। পুলিশ এসে লেখকদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বুধবারই লেখকের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হওয়ার খবর নেই। লেখকের স্ত্রী ও আত্মীয়দের ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে। সুজনবাবুর এমন মৃত্যুর খবরে হতবাক পর্দায় একেনবাবুর চরিত্রে অভিনয় করা অনির্বাণ চক্রবর্তী। কী বলবেন বুঝে উঠতে পারছেন না অভিনেতা। এমনটাই জানিয়েছেন এক সংবাদমাধ্যমকে। সুজন দাশগুপ্তর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকাহত তার অনুরাগীরাও।