কঙ্কনা সেন শর্মা জন্ম ৩রা ডিসেম্বর, ১৯৭৯। তিনি একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তার বাবা মুকুল শর্মা (একজন বৈজ্ঞানিক লেখক এবং সাংবাদিক) এবং মা অপর্ণা সেন (একজন অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা)।তার একজন বড় বোনও আছে, কমলিনী চট্টোপাধ্যায়। সেন শর্মার দাদু, চিদানন্দ দাসগুপ্ত, একজন চলচ্চিত্র বিশ্লেষক, বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক, লেখক এবং কলকাতা ফিল্ম সোসাইটির অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তার দিদা সুপ্রিয়া দাসগুপ্ত কবি “জীবনানন্দ দাশের” খুড়তুতো বোন। দাদা হলেন ওমি শর্মা ২০০১ সালে দিল্লীর সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে তিনি ইংরেজিতে সম্মান ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাশাপাশি, কলকাতার মডার্ণ হাই স্কুল ফর গার্লসের ছাত্রী ছিলেন।
শর্মাকে প্রথমদিকে ভারতীয় কলা কেন্দ্র এবং স্বাধীন চলচ্চিত্রে দেখা যেত, এবং এই ধরনের কাজে তার অসামান্য অর্জন তাকে সময়াকালীন চলচ্চিত্রে অন্যতম অভিনেত্রীদের মধ্যে পথিকৃত করে তুলেছে। তার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে ইন্দিরা (১৯৮৩) সিনেমায় শিশু শিল্পী হিসেবে। প্রাপ্ত বয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে বাংলা রোমাঞ্চকর সিনেমা “এক যে আছে কন্যা” (২০০০) সিনেমার মাধ্যমে। তিনি সকলের নজরে আসেন ইংরেজি-ভাষার সিনেমা “মিঃ এন্ড মিসেস আইয়ার” (২০০২) মাধ্যমে, যার পরিচালক ছিলেন তার মা, এবং এই ছবির জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। নাটকীয় চলচ্চিত্র “পেইজ-থ্রি” (২০০৫) এর মাধ্যমে তার দর্শক কর্তৃক স্বীকৃত আরো বৃদ্ধি পায়, এবং তারপর থেকে তিনি অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন, যার বেশিরভাগ ছবিতে বাণিজ্যিকভাবে সফল না হলেও তার অভিনয় আলোচনামূলক প্রশংসা অর্জন করে। তিনি পরপর দুইবার “ফিল্মফেয়ার সেরা সহ-অভিনেত্রী” পুরস্কার অর্জন করেন, এই দুইটি সিনেমা যথাক্রমে “ওমকারা” (২০০৬) এবং “লাইফ ইন এ… মেট্রো” (২০০৭)। তার পূর্বের অভিনীত সিনেমার জন্য তিনি সেরা সহ-অভিনেত্রীর জন্য দ্বিতীয় জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।