কণ্ঠশিল্পী বশির আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বশির আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের এইদিনে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় তিনি মারা যান। বশির আহমেদের জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ‘অনেক সাধের ময়না আমার’, ‘আমাকে পোড়াতে যদি এত লাগে ভালো’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’, ‘যারে যাবি যদি যা; পিঞ্জর খুলে দিয়েছি’, ‘ডেকো না আমাকে তুমি, কাছে ডেকো না’, ‘খুঁজে খুঁজে জনম গেল’, ‘সজনী গো ভালোবেসে এত জ্বালা কেন বল না’।

বশির আহমেদ একাধারে শিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন। দিল্লির সওদাগর পরিবারের সন্তান বশির আহমেদ ১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতার খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নাসির আহমেদ। ১৯৬৪ সালে বশির আহমেদ সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন।

ঢাকায় আসার আগেই উর্দু চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন বশির আহমেদ। ১৯৬৩ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘তালাশ’-এ গান গাওয়ার সুযোগ পান তিনি। এই সিনেমায় নায়ক রহমানের ঠোঁটের সবগুলো গান গেয়েছিলেন তিনি। সিনেমার ‘কুছ আপনি কাহিয়ে, কুছ মেরি সুনিয়ে’ বেশ জনপ্রিয় হয়। এরপর জহির রায়হানের উর্দু সিনেমা ‘সঙ্গম’ (১৯৬৪)-এ গান করেন তিনি।

১৯৬৪ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘কারওয়াঁ’তে নিজের লেখা ও সুরে ‘যব তুম আকেলে হোগে হাম ইয়াদ আয়েঙ্গে’ জনপ্রিয় হয়। আরও উর্দু চলচ্চিত্রে কাজ করলেও ১৯৬৭ সালে ‘দরশন’ বশির আহমেদ নিয়ে যায় খ্যাতির শীর্ষে।

বাংলা চলচ্চিত্রেও সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন বশির আহমেদ। বশির আহমেদের সুরে গান করেছেন ফেরদৌসী রহমান, মোহাম্মদ আবদুল জব্বার, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন থেকে শুরু করে তরুণতর অনেক শিল্পী।

বশির আহমেদ ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ সিনেমায় গানের জন্য ২০০৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি একুশে পদকেও ভূষিত হন। এছাড়াও দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

বাংলানিউজ

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fourteen − 3 =