মাইলি রে সাইরাস ২৩ নভেম্বর ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন মার্কিন কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার এবং অভিনেত্রী। কান্ট্রি গায়ক বিলি রে সাইরাস তার বাবা। তিনি শৈশবেে টেলিভিশন ধারাবাহিক ডক এবং বিগ ফিশ চলচ্চিত্রে গৌণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ২০০৬ সালে, সাইরাস ডিজনি চ্যানেল টেলিভিশন ধারাবাহিক হানা মন্টানায় অভিনয় শুরু করার পর তারুণ্যের প্রতিমা হিসেবে বেশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন, যেখানে তিনি প্রধান চরিত্র মাইলি স্টুয়ার্ট হিসেবে উপস্থিত হন। ২০০৭ সালে হলিউড রেকর্ডসের সাথে রেকর্ডিং চুক্তি স্বাক্ষরের পর, সাইরাস তার আত্মপ্রকাশ স্টুডিও অ্যালবাম মিট মাইলি সাইরাস মুক্তি দেন। চার মিলিয়নের অধিক চালানের এবং হিট একক “সি ইউ এগেইন” উৎপাদনের জন্য, এটি রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা (আরআইএএ) কর্তৃক চতুর্গুণ-প্ল্যাটিনাম প্রত্যয়িত হয়।
২০০৮ সালে, সাইরাস তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ব্রেকআউট মুক্তি দেয়, যেখানে একটি সফল ট্র্যাক “সেভেন থিঙ্গস” অর্ন্তভুক্ত ছিল, পাশাপাশি বোল্ট অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রে ভয়েস অভিনেত্রী হিসেবে তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুর করেন। ২০০৯ সালে, সাইরাস হানা মন্টানা: দ্য মুভি ফিচার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন; যা সাউন্ডট্র্যাকে “দা ক্লাইম্ব” শিরোনামে একটি হিট একক উৎপাদন করে। ইপি দ্য টাইম অব আওয়ার লাইভ্স (২০০৯) অ্যালবামে সাইরাস তার প্রাজ্ঞ ভাবমূর্তি লাভ করে, যেখানে একটি সফল ট্র্যাক “পার্টি ইন দ্য ইউ.এস.এ” অর্ন্তভূক্ত হয়। এই পরিবর্তনে তিনি তৃতীয় অ্যালবাম কান’ট বি টেমড্ (২০১০) মুক্তি পায়, যার টাইটেল টট্র্যাক শীর্ষ দশে অর্ন্তভূক্ত হয়, যদিও এটি সামান্য বাণিজ্যিক সাফল্য পায় এবং তার কর্মজীবনে সর্বনিম্ন বিক্রয়ের রেকর্ড তৈরি ওঠে। পরের বছর, সাইরাস কামিং-অব-এজ-চলচ্চিত্র দ্য লাস্ট সঙ-এ অভিনয় করেন। এর উৎপাদনের সময় তিনি সহ-তারকা লিয়াম হ্যামউর্থের সাথে ছাড়া-ছাড়া সম্পর্কে জড়িত ছিলেন; এবং শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালে তাদের বছর ব্যপী সম্পর্কের অবসান ঘটে।
সাইরাস, ২০১১ এবং ২০১২ সাল জুড়ে বিভিন্ন টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে উপস্থিতির মধ্য দিয়ে অভিনয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন। পরবর্তীতে আরসিও রেকর্ডসের সাথে একটি রেকর্ডিং চুক্তি স্বাক্ষর করেন, এবং তার চতুর্থ স্টুডিও অ্যালবাম ব্যাঙ্গ্রেস (২০১৩) প্রচারনার সময় যৌনতাপূর্ণ সার্বজনীন ভাবমুর্তী অবতাড়নার মাধ্য দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করে। অ্যালবামটির একক “উই কান্ট স্টপ এবং “রেকিং বল” বিতর্কিত সঙ্গীত ভিডিও হিসেবে বিবেচিত হয়; পরবর্তীতে যা ইউ.এস. বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় তার প্রথম #১ নম্বর হিট গান হয়ে ওঠে।
সাইরাসের পাঁচটি অ-ধারাবাহিক #১ নম্বর অ্যালবাম ইউ.এস বিলবোর্ড ২০০ তালিকায় রয়েছে, যার মধ্যে দইটি ট্যাক তার হানা মন্টানায় নামিক চরিত্রে ব্যবহৃত হয় এবং এর জন্যে তিনি অনেক পুরস্কার এবং মনোনয়ন অর্জন করেন। ২০১০ সালে, সাইরাস ফোর্বস সেলিব্রেটি ১০০ তালিকায় তের নম্বরে অবস্থান করে নেয়, এবং নভেম্বর ২০০৯ সালে বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় উনত্রিশটি গান অন্তভূক্তির জন্য “মোস্ট চার্টেড টিনেজার” হিসেবে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। ২০১৩ সালে, এমটিভি তাকে “বছরের শিল্পী” ঘোষণা করে।
সাইরাস নভেম্বর ২৩ ১৯৯২ সালে ন্যাশভিল, টেনেসিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার মায়ের নাম লেটিসিয়া “টিশ”(বিয়ের আগের পদবি ফিনলে) আর বাবা লোকগীতি শিল্পী বিলি রে সাইরাস। তার বড় ভাইয়ের নাম ট্রেস সাইরাস। সে একটি ইলেক্ট্রনিক রক ব্যান্ড মেট্রো স্টেশনের হয়ে গান গায় এবং গিটার বাজায়। তার বড় বোনের নাম ব্র্যান্ডি। এই দুই ভাইবোন টিশের আগের পক্ষের সন্তান যাদের বিলি রে সাইরাস খুব ছোট বয়েসেই দত্তক নিয়েছিলেন। তার এক বড় সৎ ভাইও আছে যার নাম ক্রিসটোফার কোডি। সে তার বাবার আগের পক্ষের সন্তান। তবে সে তার নভেম্বর ২০০৭ এর টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থ কনসার্টের পর ক্রিসটোফারকে আর দেখেনি। সাইরাসের ছোট ভাই ব্রায়সন এবং ছোট বোন নোয়া সাইরাস (সেও একজন অভিনেত্রী)। সাইরাসের বাবা-মা তার নাম দিয়েছিলেন ডেসটিনি হোপ কারণ তাদের আশা ছিলো সে জীবন অনেক সাফল্য পাবে। তার ডাকনাম দেওয়া হয়েছিল “মাইলি” কারণ ছেলেবেলায় সে সবসময় হাসতো অর্থাৎ “স্মাইলি” এর সঙ্গে তার মিল দেখে। সে চেরোকি বংশদ্ভুত।
সাইরাস হেরিটেজ মিডল স্কুলে পড়াশোনা করেন।স্কুলে তিনি চিয়ারলিডার ছিলেন। এখন তিনি অপশনস ফর ইউথ স্কুলে পড়েন। তার একজন গৃহ শিক্ষক আছেন যিনি টিভি শোর সেটে এসে তাকে পড়িয়ে যান। সাইরাস ন্যাশভিল, টেনেসিতে তার বাব-মায়ের খামারবাড়িতে বড় হয়েছেন। তিনি সেখানে নিয়মিত দা পিপলস চার্চে যেতেন।