কানাডাকে হারিয়ে সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখলো পাকিস্তান

পেসারদের বোলিং নৈপুণ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে  পাকিস্তান। গতরাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে পাকিস্তান ৭ উইকেটে হারিয়েছে কানাডাকে। এই জয়ে ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে উঠেছে পাকিস্তান। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে চতুর্থস্থানে আছে কানাডা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ দু’টিস্থানে আছে যথাক্রমে-ভারত ও স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভারে ২০ রানের সূচনা পাবার পর পাকিস্তানের পেসারদের তোপের মুখে পড়ে কানাডা। দশম ওভারে ৫৪ রান উঠতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এসময় আউট হওয়া পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অংকে পা রাখতে পারেননি।

সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝেও এক প্রান্ত আগলে লড়াই করেছেন ওপেনার অ্যারন জনসন। ছক্কা মেরে ৩৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ১৪তম ওভারে বোল্ড আউট করে  জনসনকে থামান পেসার নাসিম শাহ। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৪৪ বলে ৫২ রান করেন জনসন। নিউ ইয়র্কের এই ভেন্যুতে প্রথমে ব্যাট করা দলের কোন ব্যাটারের এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

দলীয় ৭৩ রানে জনসন ফেরার পর লোয়ার অর্ডারে তিন ব্যাটারের লড়াইয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৬ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় কানাডা। অধিনায়ক সাদ বিন জাফর ১০, কলিম সানা অপরাজিত ১৩ ও ডিলন হেলিগার অনবদ্য ৯ রান করেন।

পাকিস্তানের আমির ১৩ রানে এবং হারিস রউফ ২৬ রানে ২টি করে উইকেট নেন। স্পিনার শাদাব খানের পর পাকিস্তানের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের ৭১তম ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১শ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেন হারিস। ১টি করে উইকেট নেন আফ্রিদি ও নাসিম।

১০৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২০ রানের সূচনা করে পাকিস্তানও। ৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার সাইম আইয়ুব। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানের জয়ের পথ সহজ করেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম।

১টি করে চার-ছক্কায় বাবর ৩৩ বলে ৩৩ ও চার নম্বরে নামা ফখর জামান ৪ রান করে ফিরলেও, ১৫ বল হাতে রেখে উসমান খানকে নিয়ে এবারের বিশ^কাপে পাকিস্তানকে প্রথম জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন ৫২ বলে টি-টোয়েন্টিতে ২৯তম হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া রিজওয়ান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে ধীরগতির হাফ-সেঞ্চুরির মালিক এখন রিজওয়ান।

এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ৫০ রানের ইনিংসে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন রিজওয়ান। দু’জনই টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৩০বার করে অন্তত ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন। শেষ পর্যন্ত রিজওয়ান ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৩ বলে  ৫৩ ও উসমান ২ রানে অপরাজিত থাকেন । কানাডার হেলিগার ২টি উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন আমির।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − eleven =