কানাডায় হ্রদে ডুবে বাংলাদেশি পাইলট ও উদ্যোক্তার মৃত্যু

কানাডায় হালকা নৌযান ক্যানু ডুবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট সাইফুজ্জামান ও তার বন্ধু টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব মারা গেছেন। খবর বিডি নিউজ।

কানাডার স্থানীয় সময় রোববার বিকাল ৩টা ৬ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিমান বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বোয়িং ৭৮৭-এর ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামানের মৃতদেহ বাংলাদেশে আনার জন্য বিমানের টরন্টো অফিস কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে।

সাইফুজ্জামান শনিবার সপরিবারে কানাডায় পৌঁছান বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, সাইফুজ্জামানের সঙ্গে বিজিএমইএর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব মারা গেছেন।

টরন্টো থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকা দেশে বিদেশে’র সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিন্টু জানিয়েছেন, অবকাশ যাপন ও বড় মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে টরন্টো যান সাইফুজ্জামান। তার বড় মেয়ে টরন্টোর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

রোববার তারা টরন্টো থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরের লিনজি শহরে গিয়ে একটি কটেজে ওঠেন। দুপুরের দিকে সাইফুজ্জামান, রাকিব ও তার ছেলে মাহির একটি ক্যানু নিয়ে হ্রদে নামেন।

ক্যানুটি যখন স্টারজেন হ্রদের বুকে এগিয়ে চলছিল, তখন তীরে দাঁড়িয়ে থাকা সাইফুজ্জামানের স্ত্রী ও ছোট মেয়ে মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। হঠাৎ করে ক্যানু উল্টে যায়।

পরে মাহির সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন, কিন্তু সাইফুজ্জামান ও রাকিব আর ফিরে আসেননি। পরে উদ্ধারকারীরা তাদের দু’জনকেই উদ্ধার করেন, ততক্ষণে তারা আর জীবিত ছিলেন না।

পুলিশের বরাতে কানাডার সংবাদমাধ্যম সিটিভিনিউজ লিখেছে, রোববার বিকেলে কাওয়ার্থা লেইক অঞ্চলের একটি হ্রদে ক্যানু উল্টে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন।

বিকাল ৩টার কিছু পরে স্টারজিওন লেইকে নৌদুর্ঘটনার খবর পেয়ে জরুরি সেবাদানকারীরা সেখানে ছুটে যান।

ক্যানুটিতে তিনজন পুরুষ ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু বাকি দুজন পানিতে ভেসে থাকতে না পেরে প্রাণ হারান।

নৌকায় থাকা তিনজনের কারো শরীরে তখন কোনো লাইফ-জ্যাকেট ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two + 16 =