ক্রমিক খুনির চরিত্রে আর অভিনয় করবেন না নিকোলাস কেইজ

‘লংলেগস’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে ১২ জুলাই। হরর থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি রমরমিয়ে চলছে বিশ্বজুড়ে। প্রথম দিনেই আয় করেছে ২২ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। শুধু তো বক্স অফিসের সাফল্য নয়, সমালোচক মহলেও যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছে অসগুড পারকিনস পরিচালিত লংলেগস। বেশির ভাগ সমালোচক বলছেন, অস্কারজয়ী হরর থ্রিলার ‘সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস’-এর পর এটিই সর্বকালের সেরা সিরিয়াল কিলারভিত্তিক সিনেমা। এতে একজন সিরিয়াল কিলার বা ক্রমিক খুনির চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিকোলাস কেইজ। তবে এ ধরনের চরিত্রে আর অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিকোলাস।

সম্প্রতি দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিকোলাস বলেন, ‘আমি জানি, লংলেগস সিনেমার পর সিরিয়াল কিলার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আমার কাছে ক্রমাগত ফোন আসতে থাকবে। কিন্তু আমি আর এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করব না। আমি সহিংসতা পছন্দ করি না। এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে চাই না যে আরেকটা মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করছে।’

লংলেগস সিনেমায় নিকোলাস কেইজের সঙ্গে আছেন মাইকা মনরো। তিনি অভিনয় করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের একজন কর্মকর্তার ভূমিকায়। কয়েক দশক ধরে ঘটে চলা একটি সিরিয়াল কিলিংয়ের রহস্য উন্মোচনে নিযুক্ত করা হয় মাইকা অভিনীত লি হারকার চরিত্রটিকে। তদন্ত করতে গিয়ে লি দেখে, এ ধরনের প্রতিটি ঘটনায় স্ত্রী ও কিশোরী কন্যাকে হত্যা করে প্রতিটি পরিবারের পুরুষটি আত্মহত্যা করেছে। আর ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে একটি বিশেষ ধরনের কোড। লি আবিষ্কার করে, হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রত্যেক কিশোরীকে খুন করা হয়েছে তার জন্মদিনের ছয় দিন আগে অথবা পরে। এসব তারিখ মিলিয়ে লি যখন সমাধানের কাছাকাছি পৌঁছায়, তখনই একদিন একটি জন্মদিনের আমন্ত্রণপত্র পায় সে। একপর্যায়ে আবিষ্কৃত হয়, লির সঙ্গে লংলেগসের ব্যক্তিগত কোনো যোগাযোগ আছে।

সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা নিয়ে যত সিনেমা তৈরি হয়েছে, সেগুলোর চেয়ে লংলেগসের গল্প আলাদা কিছু নয়। তবে সিনেমাটিকে আলাদা করেছে এর নির্মাণকৌশল ও অভিনয়। বিশেষ করে নিকোলাসের চরিত্রের ভয়াবহতা দর্শককে শিহরিত করেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

19 − seventeen =