খুলনা বিভাগীয় তায়কোয়ানডো ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা চ্যাম্পিয়ন

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো “খুলনা বিভাগীয় তায়কোয়ানডো ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫”। বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের আয়োজনে এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা খুলনা ও যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতায় ৮টি জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে ১৩০ জন খেলোয়াড় (৮৫ জন পুরুষ, ৪৫ জন নারী) অংশ নেন।

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা ২৪ স্বর্ণ, ১৯ রৌপ্য, ১৩ তাম্র পদক জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা ১৪ স্বর্ণ, ০৮ রৌপ্য, ০৭ তাম্র পদক নিয়ে ১ম রানার্স আপ হয়।নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা ০৪ স্বর্ণ, ০৫ রৌপ্য, ০৩ তাম্র পদক নিয়ে ২য় রানার্স আপ হয়।

প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মো. হাবিব উল্লাহ, এসজিপি, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, সভাপতি, বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন বলেন—“তায়কোয়ানডো তরুণদের শৃঙ্খলা, আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্বশীলতার শিক্ষা দেয়। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অগ্রসর হচ্ছে, বিভাগীয় পর্যায়ের এ আয়োজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় গড়তে সহায়ক হবে।”

বিশেষ অতিথি হাসানুজ্জামান খান বাবুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন বলেন-“তায়কোয়ানডো তরুণদের সঠিক পথে পরিচালিত করে, খেলোয়াড়দের আরও এগিয়ে যেতে সহায়তা করা হবে।”

অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক তবিবুর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রশিক্ষক, যশোর তায়কোয়ানডো ক্লাব বলেন—“যশোরে তায়কোয়ানডোর প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে, তবে অবকাঠামোগত ঘাটতি ও সরঞ্জামের অভাবে প্রতিভারা পিছিয়ে পড়ছে। এসব সমস্যার সমাধানে প্রধান অতিথি ও সভাপতির সুদৃষ্টি কামনা করছি।”

যশোর তায়কোয়ানডো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি- এস কে মোঃ ওয়ালিউর রহমান, সভাপতি, যশোর তায়কোয়ানডো অ্যাসোসিয়েশন বলেন—

“আমার দীর্ঘ ৪০ বছরের মার্শাল আর্ট ক্যারিয়ারে যশোরবাসী সবসময় বৈষম্যের শিকার হয়েছে। আমার নেতৃত্বে ২০১৭ সাল থেকে যশোরে তায়কোয়ানডো শুরু হলেও ফেডারেশনের অসহযোগিতার কারণে অনেক পিছিয়ে ছিলাম। তবে বর্তমান এডহক কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় তায়কোয়ানডোর বিস্তার ঘটেছে। আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং দেশের প্রতিটি জেলা থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসবে, যাদের মধ্য থেকে তৈরি হবে ভবিষ্যতের অলিম্পিয়ন।”

সভাপতি মো. আজাহারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, যশোর বলেন—“যুবসমাজকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। যশোরে তায়কোয়ানডোর উন্নয়নে প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে।”

আরও উপস্থিত ছিলেন- জনাব মো. শফিকুজ্জামান (সদস্য, এডহক কমিটি, যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা),জনাবা মরিয়ম বেগম ইতি, জনাব মঈন উদ্দিন আহমেদ (সদস্য, এডহক কমিটি, বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন), জনাব এ কে এম রফিকুল ইসলাম (উপদেষ্টা, কৌশলগত উন্নয়ন কমিটি।

রেফারী হিসেবে ছিলেন- মো. মোজাফফর হোসেন বুলু, এস কে মো. ওয়ালিউর রহমান, মুমিত হাসান, শ্রাবন্তী ইসলাম, আসিক মাহমুদ,  ইহতেশামুল আলম, আল মুনতাকিম মুহিত, মো. লুয়াকত হোসেন তরফদার, আব্দুল্লাহ আল তাওহিদ সহ আরও অনেকে।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এখানকার খেলোয়াড়রা ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের গৌরব বৃদ্ধি করবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × one =