গীতা দত্তের জন্মদিন আজ

সুকন্ঠি গায়িকা গীতা দত্তের জন্মদিন আজ ২৩ নভেম্বর। মাত্র বারো বছর বয়সে সুরকার হনুমান প্রসাদ গীতা দত্তের গান শুনে মুগ্ধ হন। ১৯৪৬ সালে তিন্নিইভ গীতাকে ভক্ত প্রহ্লাদ নামের একটি চলচ্চিত্রে প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ দেন। এই ছবিতে গীতা কোরাসে মাত্র দুই লাইন গান গেয়েছিলেন কিন্তু তার মধ্যেই তার কৃতিত্ব ফুটে উঠেছিল। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বলিউডের প্লেব্যাক গায়িকা হিসাবে সফল ভাবে প্রতিষ্ঠিত হন গীতা দত্ত।

১৯৫১ সালে শচীন দেববর্মণের সুরে বাজি চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান তার সঙ্গীতজীবনে নতুন দিক আনে । তার কণ্ঠস্বরের যৌনতা এবং পাশ্চাত্য সুরে সহজে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার জন্য ৫০এর দশকে লাস্যময়ী এবং ডান্স ক্লাবের গানে তাকে প্রথম পছন্দ করে তোলে। দো ভাই ছবিতে গীতার কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ হয় বলিউড।

গীতা দত্ত এবং লতা মঙ্গেশকরই ছিলেন ৫০এর দশকে দুই প্রধান নেপথ্যসঙ্গীত গায়িকা । হিন্দি গান ছাড়াও বাংলা ও গুজরাটি ছবিতেও প্রধান নেপথ্য গায়িকা হিসেবে গান করেছেন তিনি।

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে অসংখ্য কালজয়ী বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গীতা দত্তের গাওয়া বাংলা গানগুলোর সুরকার ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় , নচিকেতা ঘোষ এবং সুধীন দাশগুপ্তের মতো কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞবৃন্দ।

কর্মজীবন খুব মধুর হলেও ব্যক্তিগত জীবন সুখের হয়নি গীতা দত্তের। ১৯৫৩ সালে বলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা। গুরু দত্তের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ৩ বছর দাম্পত্য জীবন কাটাবার পর গীতা দত্ত ও গুরু দত্ত আলাদা ভাবে থাকতে শুরু করেন।

তুমি যে আমার (হারানো সুর), এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায় (হসপিটাল), নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে (পৃথিবী আমারে চায়), ভারতীয় বাংলা সিনেমার সোনালি দিনের এই গানগুলো আমাদের কম বেশি সবারই শোনা। আমাদের মা বাবারা এসব গানে মন্ত্রমুগ্ধ হতেন।

মানসিক টানাপড়েন ও লিভার সেরসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে  ১৯৭২সালে ২০শে জুলাই মারা যান গীতা দত্ত।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eleven − seven =