দ্বিতীয় দিনশেষে বাংলাদেশ এগিয়ে, কিন্তু বলা যাবে না ম্যাচ এখনো হাতের মুঠোয়। সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলকে ২২৭ রানে থামিয়ে বহুদিন পর ওপেনার্স এবং টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কার্যকর বাটিংয়ের কল্লানে ১/১৯৪ পৌঁছে বাংলাদেশ ম্যাচের একছত্র নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এর পর সেই চিরচেনা অস্থিরতা,আস্থা আর ধারাবাহিকতার অভাব। মোমিনুল আউট হবার পর ১২০ রান করে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ওপেনার সাদমান বেনেটের বলে এলবিডব্লু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিআরএস চাওয়া সমীচীন ছিল। অপর প্রান্তে থাকা অধিনায়ক শান্ত কেন পরামর্শ দিলো না? ওদের জুটিটি আরো দীর্ঘায়িত হলে হয়তো ১৯৪ থেকে ২৯১ ব্যাবধানে ৬ উইকেট পতন ঘটতো না। দিনশেষে বাংলাদেশ ম্যাচের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকতো। ৩ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশ এখন ৬৪ রানে এগিয়ে। এই উইকেটে বাংলাদেশকে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করতে হবে। অবশ্যই ম্যাচ ভাগ্য বাংলাদেশের দিকে ঝুকে পড়েছে। কিন্তু এই অবস্থানে থেকে বাংলাদেশ যদি ১০০ রানে এগিয়ে থেকে অতিথি দলকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০ রানে সীমিত রাখতে পারে তাহলে জয় সুনিশ্চিত। কিন্তু সেটি অনেক যদি, কিন্তু ইত্যাদির উপর নির্ভর করবে।
যাহোক কাল ভালো লেগেছে তরুণ সাদমান ( ১২০) এবং দলে প্রত্যাগত আনামুল হক বিজয় (৩৯) উদ্বোধনী জুটির দৃঢ়তাপূর্ণ ১১৮ রানের জুটি। বিশেষত সাদমান যেভাবে অনায়াস লব্ধ সৃজনশীলতা দেখিয়েছে টেস্ট জীবনের দ্বিতীয় শত রান করে সেটি কেন ধারাবাহিক নয় সেটি নিয়ে প্রশ্ন করার অবকাশ আছে। বিজয় অপেক্ষাকৃত সতর্ক ছিল। উইকেটে স্থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ নিতে পারলো না। মমিনুলের কথা বলার কি আছে। ইদানিং ৩০-৪০ রানের সীমা পেরুতে পারছে না। একই কথা শান্তর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নিজেকে পূর্ণ মাত্রায় বিকশিত করতে পারছে না শান্ত। কাল কিন্তু ভালো খেলছিল মুশফিক। ভাগ্য বিড়ম্বনায় অস্থির হয়ে রান আউট না হলে বড় কিছু অর্জন হত। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। সুবিধাজনক অবস্থান থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আলগা করে ফেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশ এই ইনিংসে ৪০০-৪৫০ রান করে অতিথি দলকে কোনঠাসা করতে পারতো। ৬৪ রানের লিড অন্তত ১০০ পর্যন্ত প্রসারিত হলে বাংলাদেশ জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। উইকেটে টার্ন আছে। বাংলাদেশের স্পিনার্সরা নিজেদের যোগ্যতায় ম্যাচটি জয় করবে বলে আস্থা রাখা যেতেই পারে। তবে প্রয়োজন হবে শৃঙ্খলা বজায় রেখে পরিকল্পনা মাফিক খেলা এবং তুখোড় ফিল্ডিং।