খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মদিন আজ। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এসএম সুলতান। তার চিত্রকর্মের স্বকীতায় ‘লাল মিয়া’ থেকে হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তিনি মাটি ও মানুষের শিল্পী হিসেবেও পরিচিতি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জেলা প্রশাসন, সুলতান ফাউন্ডেশন ও সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বরেণ্য শিল্পী এসএম সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, এস এম সুলতানের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, বরেণ্য শিল্পীদের আর্টক্যাম্প, বরেণ্য শিল্পীদের তত্ত্বাবধানে শিশু চিত্রকর্মশালা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিশুদের নিয়ে চিত্রা নদীতে নৌকা ভ্রমণ, এস এম সুলতানের চিত্রকর্মের পর্যালোচনা, আলোচনা সভা এবং এস এম সুলতানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আদমসুরত’ প্রদর্শন করা হবে।
এছাড়া শিশুদের অঙ্কিত চিত্রকর্ম নিয়ে ১০০ বর্গফুট দৈর্ঘ্যের ছবি প্রদর্শন করা হবে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খানসহ খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
এস এম সুলতান চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউ ইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।
অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এসএম সুলতান।