ছেলে মাশরুরের পরিচালনায় ফিরছেন সোহেল রানা

বাবা সোহেল রানার মতো মাশরুর পারভেজকেও দেখা যাচ্ছে অভিনয়ে। তবে মাশরুরের আগ্রহ বেশি পরিচালনায়। প্রথম সিনেমা ‘রাইয়ান’-এর পর ‘গোয়িং হোম’ নামে আরেকটি সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে এটি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে মুক্তির পর সিনেমাটি এবার আসছে বাংলাদেশে। গতকাল মঙ্গলবার মাশরুর জানিয়েছেন, জুলাই মাসে দেশের হলে ‘গোমিং হোম’ মুক্তি দিতে চান তিনি।

এ সিনেমায় ছেলের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন সোহেল রানা। ছেলের গল্প, পরিচালনার ধরন নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। সোহেল রানা বলেন, ‘মাশরুর অনেক যত্ন নিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছে। সাধারণত সিনেমা যাঁরা দেখতে যাবেন, তাঁরা বিনোদনের জন্য যাবেন। কিন্তু ১০-২০ বছর পরও বলতে পারবেন, একটা ভালো সিনেমা দেখেছিলাম। এটা এমন একটা সিনেমা, যেটা সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে যাবে না। মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন রেখে যাবে, যে প্রশ্নের জবাবগুলো তাঁরা খুঁজে বেড়াবেন।’ শুধু বাবা নন, গোয়িং হোমের একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে মাশরুরের মা জিনাত বেগমকেও।

গোয়িং হোম সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাশরুর নিজেই। অন্যান্য চরিত্রে আছেন নতুন অভিনয়শিল্পী নুসরাত জাহান জেরি, ফাহিম ফারুকসহ অনেকে। পরিচালক মাশরুর বলেন, ‘অভিনয়শিল্পীর ব্যাপারে আমি খ্যাতিকে প্রাধান্য দিই না। গল্পের মারপ্যাঁচেই চরিত্রের জন্ম হয়। তাই পুরো স্ক্রিপ্ট হয়ে গেলে বিবেচনা করি কে কোন চরিত্রে ভালো করবেন। কার লুক কতটা মানানসই। নায়িকা হিসেবে জেরিকে নিয়েছি, তিনি টুকটাক কাজ করেছেন মিডিয়ায়। দ্বিতীয় হিরো হিসেবে নিয়েছি ফাহিম ফারুককে। তিনি এর আগে অভিনয় করেননি। আমি পরিচিত মুখ নিতেই পারতাম। কিন্তু মনে হয়েছে, আমি যে গল্প বলতে চাই, তার সঙ্গে তাঁরাই মানানসই।’

গোয়িং হোম সিনেমাটি তৈরি হয়েছে এক যুবকের শিকড়ে ফেরার আকুলতা নিয়ে।

গোয়িং হোম সিনেমাটি তৈরি হয়েছে এক যুবকের শিকড়ে ফেরার আকুলতা নিয়ে। এ গল্পে মিলেমিশে গেছে বাস্তবতা আর গভীর জীবনবোধ। সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা মাশরুর বলেন, ‘মূলত এক যুবককে ঘিরে এগিয়ে যায় সিনেমার গল্প। বলতে পারেন আমার জীবনের নানা ঘটনা ও অনুষঙ্গ থেকেই তুলে আনা হয়েছে সিনেমার বিভিন্ন উপাদান। এ সিনেমার প্রধান চরিত্রটি ব্যাংক থেকে টাকা চুরি করে। সাধারণত অন্যান্য সিনেমায় দুইটা ব্যাপার দেখানো হয়। হয়তো পুলিশের কাছে ধরা খায়, নয়তো অপরাধী বিজয়ী হয়। গোয়িং হোমে চরিত্রটি এমন যে, সে চুরি করে ধরা খায়নি। সবকিছুই ঠিকঠাক। কিন্তু সে ধরা পড়ে নিজের বিবেকের কাছে। চুরির পরে ওর জীবনটা ঠিকঠাক চললেও মনটা অস্থির হয়ে ওঠে।’

সাইকোথ্রিলার ঘরানার সিনেমা গোয়িং হোম দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশাবাদী মাশরুর। তিনি বলেন, ‘গোয়িং হোম যদি প্রথমবার দেখে দর্শকদের আগ্রহ জাগে, তাঁরা দ্বিতীয়বার, এমনকি তৃতীয়বারও দেখতে চাইবেন। কারণ, সিনেমাটি তৈরি হয়েছে পাজলবক্সের মতো করে। সব জবাব প্রথমবারই পাওয়া যাবে না।’

শুধু অভিনয় ও পরিচালনা নয়, ‘গোয়িং হোম’ সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্যও লিখেছেন মাশরুর। এরই মধ্যে ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমার ট্রেলার ও দু-একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের ক্লিপস। মাশরুর জানিয়েছেন, গোয়িং হোম সিনেমাটির মুক্তি উপলক্ষে ১৯ জুন একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে সিনেমাটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানাবেন তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

4 × two =