জন্মদিনে মঞ্চে ‘হেলেন কেলার’

আজ হেলেন কেলারের ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়ন করবে মনোড্রামা ‘হেলেন কেলার’। ‘বিশ্বের বিস্ময়’ হেলেন কেলারের জীবন-কর্ম-স্বপ্ন-সংগ্রাম-দর্শনভিত্তিক এই নাটকটি রচনা করেছেন অপূর্ব কুমার কুণ্ডু। নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। অভিনয় করেছেন জুয়েনা শবনম। আজ হবে নাটকটির ৫৪তম প্রদর্শনী।

আজকের বিশেষ প্রদর্শনীতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দৃষ্টিজয়ী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকোত্তর এবং মানবাধিকার ও প্রতিবন্ধী উন্নয়নকর্মী মনসুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী অধিকারবিষয়ক কমিটির সাবেক সদস্য, ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা-ট্রাস্টি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি, ডিজঅ্যাবিলিটি কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের কার্যনির্বাহী বোর্ডের সদস্য, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনালের সাবেক উপদেষ্টা এবং আলোচিত ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’র উদ্যোক্তা।

দৃষ্টি, বাক্‌ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও প্রবল আত্মবিশ্বাস আর শিক্ষয়িত্রী অ্যান স্যুলিভানের প্রেরণায় সব নেতিবাচকতার বিরুদ্ধে হেলেন কেলারের ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনি নিয়ে আবর্তিত হয়েছে নাটকটি। এতে প্রকাশিত হয় চার্লি চ্যাপলিন, মার্ক টোয়েন, কেনেডি, আইনস্টাইনের মতো ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে হেলেন কেলারের জীবনের সমৃদ্ধির কথা। উন্মোচিত হয় পাশ্চাত্যের হেলেন কেলারের জীবনে প্রাচ্যের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তথা রবীন্দ্রদর্শনের প্রভাব! উঠে আসে নারীজাগরণ-মানবতাবাদের পক্ষে এবং যুদ্ধ, ধ্বংস, সহিংসতা, বর্ণবাদ আর আণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে তার অবস্থানের কথা।

অজস্র প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রকাশিত ও বিকশিত হয়ে মানবকল্যাণে নিবেদিত হতে পারাটাই জীবনের চূড়ান্ত সার্থকতা! আর বিরূপ পরিস্থিতিতেও মানুষের কর্তব্য যে হতে পারে কতখানি মহান—এসব অনুভবই শেষাবধি প্রধান হয়ে ওঠে হেলেন কেলারের জীবনীনির্ভর এবং গবেষণাগার পদ্ধতিতে নির্মিত আধুনিক বাঙলা নাট্যরীতির এ প্রযোজনায়।

‘হেলেন কেলার’ প্রযোজনাটি দেশে নিয়মিত মঞ্চায়নের পাশাপাশি দেশের বাইরে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আমন্ত্রণে এবং ভারতের চারটি আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে মঞ্চায়নের মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fourteen − nine =