জলবায়ু-বান্ধব এয়ারকন্ডিশনার জরুরি: জাতিসংঘ প্রতিবেদন

টেকসই সমাধানকে অগ্রাধিকার না দিলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এয়ারকন্ডিশনারের অতিরিক্ত চাহিদার বিস্ফোরণ জলবায়ু পরিবর্তনকে অপেক্ষাকৃত আরও খারাপ করতে পারে। বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। বাসস ডেস্ক

জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতের শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)-র মতামত অনুসারে ২০৫০ সালের মধ্যে এয়ার কন্ডিশনার এবং রেফ্রিজারেটরের চাহিদা আফ্রিকায় সাত গুণ এবং এশিয়ায় চার গুণ বৃদ্ধি পাবে।

আইএফসি’র প্রধান মাখতার দিওপ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই দেশগুলো ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার মারাত্মক প্রভাবের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এইসব দেশের জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাপমাত্রার সমাধান প্রয়োজন।

ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশে নগরায়ন এয়ার কন্ডিশনের চাহিদা বাড়িয়ে তুলছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ খাতে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিদ্যুতের এক পঞ্চমাংশ খরচ হয় এবং ২০৫০ সালের মধ্যে চাহিদা তিনগুণ হলে উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও ফসল এবং ভ্যাকসিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলোকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে হিমায়নের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয়তার মধ্যে একটি ভারসাম্য প্রয়োজন।

নাইরোবিতে অবস্থিত ইউএনইপি’র নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জার অ্যান্ডারসেন বলেছেন, ‘নাইরোবিতে অবস্থিত ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জার অ্যান্ডারসেন বলেছেন, ‘যেহেতু বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রার রেকর্ড ক্রমান্বয়ে ভেঙে যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ উভয়ের জন্যই শীতল রাখা অপরিহার্য।

তিনি আরো বলেছেন, ‘তবে আমাদের গ্রহকে আরও উত্তপ্ত করে এমন সমাধানের মাধ্যমে শীতল করার চাহিদা পূরণ অবশ্যই এড়াতে হবে।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 + 7 =