জাজ্বল্যমান জ্বালানি নিরাপত্তায় পিতা থেকে তনয়া

আফরোজা নাইচ রিমা: জ্বালানি শক্তির উপরই নির্ভর করে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব। বাংলাদেশে জ্বালানির অন্যতম উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রের অধিকাংশই স্থলভাগে অবস্থিত। এজন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ বৃদ্ধির জন্য স্থলভাগের পাশাপাশি দেশের বিশাল সমুদ্রসীমায় অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার এবং উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। বহুমুখী জ্বালানির সাহায্যে সমৃদ্ধ আগামী গড়াই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট নিরসনে বাংলাদেশের অবস্থান অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো।  প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জ্বালানি স্বল্পতার বিপর্যয়ের খাদে পা দিয়েছে বিশ্ব।

তথ্য প্রযুক্তি  উপদেষ্টা  বলেন,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে কখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। সেখানেও সাশ্রয়ের জন্য বলা হয়েছে এবং অনেক শহরে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। আর ৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে । দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩১/১২/২০২২ পর্যন্ত ডিজেলের উপর আরোপণীয় সমুদয় আগাম কর থেকে অব্যাহতি এবং আমদানি শুল্ক ১০% এর পরিবর্তে ৫% নির্ধারণ করার ফলে ভোক্তা পর্যায় জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্টোল -এর মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ‘রূপকল্প-২০৪১’ অর্জনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম নিয়ামক জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বিদেশি তেল কোম্পানি শেল অয়েল হতে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র- তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ইএসএসও ইস্টার্ন ইন-কে সরকারিকরণ করে জ্বালানি তেলের মজুত, সরবরাহ ও বিতরণে পদক্ষেপ নেন। তার এ যুগান্তকারী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার গোড়াপত্তন ঘটে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের সময়ে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা নর্থ ও জকিগঞ্জ নামে মোট ৫টি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। আরও নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার লাইন কিলোমিটার ২-ডি সিইসমিক জরিপ এবং ১ হাজার ৫৩৬ বর্গকিলোমিটার ৩-ডি সিইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলছে। সরকার জ্বালানি খাতকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করতে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং প্রবর্তন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বাড়াতে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জ্বালানি চাহিদা পূরণে গ্যাস উত্তোলন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ কয়লার মজুত নির্ধারণসহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সার, শিল্প, গৃহস্থালি, সিএনজি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বর্ধিত হারে গ্যাস সরবরাহ করার ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। গ্যাসের অপচয় রোধে আবাসিক গ্রাহকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় চার লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশীয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের উপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা (Permanent Sovereignty Over Natural Resources) প্রতিষ্ঠা করেন।  জাতির পিতা গ্রামীণ উন্নয়ন এবং নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূর করার জন্য গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের বিষয়টিকে সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন (অনুচ্ছেদ-১৬)। বঙ্গবন্ধুর এই বৈপ্লবিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্তে ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-২৭ এর মাধ্যমে দেশের তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খনিজ, তেল ও গ্যাস কর্পোরেশন (বিএমওজিসি) গঠন করেন।

দেশের জ্বালানি সম্পদ আরোহণ, উৎপাদন, বিতরণের নীতিমালা তৈরি করে কীভাবে বিপুল পরিমাণ বেসরকারি বিনিয়োগ আনা যায় তার সম্বন্ধেও ভেবেছিলেন। ১৯৭৪ সালে পেট্রোলিয়াম অ্যাক্ট এ ভাবনা চিন্তারই ফসল। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আরবের দেশগুলো তেল উৎপাদনে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং ২ ডলার ব্যারেলের তেলের মূল্য ১২ ডলারে গিয়ে ঠেকে। বাংলাদেশের অর্থনীতি তখন সম্পূর্ণ তেলের ওপর নির্ভরশীল। এ মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের আমদানি খরচের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শুধু তেল আমদানিতে চলে যেতে শুরু করে। এ রকম পটভূমিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৯৭৪ সালে পেট্রোলিয়াম অ্যাক্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোকে বঙ্গোপসাগরে তেল অনুসন্ধানে আমন্ত্রণ জানানোটা সাহসী ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের পরিচায়ক। ১৯৭৪এর পেট্রোলিয়াম অ্যাক্টের আওতায় এশল্যান্ড, আরকো (ARCO), বিওডিসি (জাপান), ইউনিয়ন অয়েল, কানাডিয়ান সুপিরিয়র অয়েল ও ইনা নাপটাপ্লিন নামের ছয়টি কোম্পানিকে বঙ্গোপসগারে মূলত তেল অনুসন্ধানের জন্য অনুমতি দেয়া হয়। এ কোম্পানিগুলো প্রায় ৩২ হাজার কিমি গ্র্যাভিটি, ম্যাগনেটিক ও সাইসমিক সার্ভে করে এবং সাগরে মোট সাতটি কূপ খনন করে। ইউনিয়ন অয়েল ১৯৭৭ সালে কুতুবদিয়া গ্যাস খনি আবিষ্কার করে। ১৯৭৮ সালে এ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ ত্যাগ করে। যুদ্ধ-পরবর্তী গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বঙ্গবন্ধু রাশিয়া সরকারেরও সাহায্য নেয়।

বঙ্গবন্ধু জ্বালানি খাতকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে পেট্রোলিয়াম আইন ও পেট্রোলিয়াম পলিসি প্রণয়ন করেন। উক্ত আইন ও পলিসির আওতায় তিনি দেশীয় কোনো মূলধন বা বিনিয়োগ ছাড়াই বিদেশি/বহুজাতিক কোম্পানির মাধ্যমে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনের লক্ষ্যে ‘উৎপাদন বণ্টন চুক্তি’ পদ্ধতি বাংলাদেশে প্রবর্তন করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-৫৯ এর মাধ্যমে দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য বিদ্যুৎখাত পূর্ণগঠন করেন। জাতির পিতা ১৯৭৫ সালের ১৪ মার্চ The ESSO Undertaking Acquisition Ordinance 1975 এর মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ESSO Eastern Inc-কে অধিগ্রহণ করে এদেশে জ্বালানি তেল মজুদ, সরবরাহ ও বিতরণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত এই সকল স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানসমূহই আজও এদেশের তেল সেক্টরের জ্বালানি নিরাপত্তা বলয় হিসেবে কাজ করছে।

বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ (মধ্যম আয়ের দেশ) ও রূপকল্প- ২০৪১ (উন্নত দেশের মর্যাদা) অর্জনে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার জ্বালানির বহুমুখীকরণের (Diversification) নীতি গ্রহণ করেছে। এই ব্যবস্থায় দেশের জ্বালানি মিশ্রণে দেশীয় গ্যাস সম্পদের পাশাপাশি কয়লা, আমদানিকৃত এলএনজি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ, তরল জ্বালানি, আন্তঃরাষ্ট্রীয় জ্বালানি বাণিজ্যের মাধ্যমে আহরিত জ্বালানি/বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে একটি টেকসই ‘জ্বালানি ঝুড়ি’ (Fuel Basket) গড়ে তোলা হচ্ছে। জ্বালানিভিত্তিক  প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বর্তমান সরকার মহেশখালী ও মাতারবাড়ীতে একটি এবং পায়রাতে একটি ‘এনার্জি হাব’ গড়ে তুলছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রাষ্ট্রনায়ক যিনি ‘এনার্জি ডিপ্লোম্যাসি’কে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক ও দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে প্রধান্য দিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ভারত থেকে নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ আনার জন্যে ভেড়ামারায় যে ক্রসবর্ডার ইন্টারকানেকশন স্থাপিত হয়েছে, সেটি শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়া তথা উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এছাড়া ভারতের ত্রিপুরার সাথেও ক্রসবর্ডার ইন্টারকানেকশন স্থাপিত হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের মোট সরবরাহকৃত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ ভারত থেকে আসছে যা দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের গড় মূল্যের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড ও ত্রিপুরা থেকে যথাক্রমে ১৪৯৬ ও ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎসহ মোট ১৮৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি হয়েছে। বর্তমানে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে ক্রসবর্ডার ইন্টারকানেকশন স্থাপিত হয়েছে, বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই ইন্টারকানেকশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া ভুটান ও নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আনার কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে জ্বালানিভিত্তিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির লক্ষ্যে সরকার ‘সার্ক ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট ফর এনার্জি কো-অপারেশন (ইলেকট্রিসিটি)’তে যুক্ত হয় এবং বিমসটেক এর সদস্য দেশগুলোর সাথে গ্রিড ইন্টারকানেকশন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই উদ্যোগের ফলে ২০৪১ সাল নাগাদ  আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্য ও রিজিওনাল গ্রিড থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ পাবে।

জাতির পিতা ১৯৭২ সালে সংবিধানের ১৪৩ (১) (খ) অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জলসীমার অন্তর্বর্তী মহাসাগর ও বাংলাদেশের মহিসোপানে অবস্থিত রক্ষার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ‘The Territorial Waters and Maritime Zones Act’ প্রণয়ন করেন। সমুদ্র ও সমুদ্রসীমা রক্ষায় শেখ হাসিনা ২০০১ সালে জাতিসংঘের ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন (UNCLOS) অনুসমর্থন (Ratification) করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও সাহসী নেতৃত্ব এবং সফল এনার্জি ডিপ্লোম্যাসির কারণে আমরা মিয়ানমার ও ভারতের দাবির বিরুদ্ধে বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০১১ সালে ‘গ্যাস উন্নয়ন তহবিল’ গঠন করে, যার আওতায় দেশের গ্যাস সেক্টরে বর্তমানে ২১টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়া গ্যাস সেক্টরকে সার্বিক সহায়তার জন্য ২০১৫ সালে সরকার ‘এনার্জি সিকিউরিটি ফান্ড’ নামে আরেকটি তহবিল গঠন করে। সকল খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন।

আগামীর সমৃদ্ধ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার জন্য নতুন সরকারের কাছে এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে বিশ্বের শীর্ষ ১১টি অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জাতির পিতার পরে শেখ হাসিনাই একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক যিনি  সকল বাধা উপেক্ষা করে জাতির পিতার এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানামুখী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে   জাজ্বল্যমান- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর  রহমান এবং তাঁরই তনয়া শেখ হাসিনা।

লেখক : সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার পিআইডি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × 5 =