দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর- গোদাগাড়ী) আসনে প্রচারণায় ঝড় তুললেও ভোটের লড়াইয়ে জামানত হারিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৯ ভোট।
রোববার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল অনুযায়ী, এ আসনে মোট ভোটার ছিলেন চার লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩ জন। ভোট বাতিল হয়েছে সাত হাজার ৪৯৭টি।
নিয়ম অনুযায়ী, জামানত রক্ষায় প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হয় প্রার্থীকে। সেই হিসেবে জামানত রক্ষায় প্রার্থীকে পেতে হবে ২৭ হাজার ৪৭৪টি ভোট। তবে মাহি পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯ ভোট। মাহি ছাড়াও এ আসনে ৯ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
ওই আসনে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। নির্বাচনী প্রচারণায় মাহি তাকে ‘চৌধুরী সাহেব’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।
টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন এক লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানী কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির জামাল খান দুদু (সোনালি আঁশ) ২৭৩, বিএনএমের শামসুজ্জোহা (নোঙর) এক হাজার ৯১১, জাতীয় পার্টির মো. শামসুদ্দিন (লাঙ্গল) ৯৩৮ ভোট, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া (বেলুন) দুই হাজার ৭১৮, এনপিপির নুরুন্নেসা (আম) ২৯৬, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বশির আহমেদ (ছড়ি) ৩৩৫ এবং বিএনএফের আল সাআদ (টেলিভিশন) ৬০৩ ভোট পেয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে গোলাম রব্বানীকে সমর্থন দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মো. আখতারুজ্জামানের ঈগল প্রতীকে পড়েছে ২০২ ভোট।
ভোট চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে মাহিয়া মাহি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ফলাফল যা হওয়ার হবে। আমি হারি আর জিতি ইনশাআল্লাহ কালকে (সোমবার) পুরো এলাকায় একটা শোডাউন দেবো। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেবো আমি তাদের সঙ্গে আছি।’
ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ চলছে। প্রশাসন খুবই অ্যাকটিভ। সুন্দর করে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে।
একাত্তর টিভি