আজ জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জন্মদিন। ১৯৭১ সালের ০৭ নভেম্বর ভারতের পশ্চিম বাংলার কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ৫১ বছর পূর্ণ করেও এভারগ্রিন অভিনেত্রী। গত প্রায় আড়াই দশক ধরে টলিউডের অলিখিত ফার্স্ট লেডি থেকেছেন ঋতু।
বাণিজ্যিক সাফল্য, সমালোচকদের প্রশংসা দুই-ই রয়েছে অভিনেত্রীর। চরিত্রের প্রয়োজনে বারবার নিজেকে ভেঙেছেন অভিনেত্রী। আলো, চাঁদের বাড়ি, উৎসব, দহন, মনের মানুষ, মুক্তধারা, প্রাক্তন-র মতো ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে রীতিমতো। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও। আবার একই সঙ্গে বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রিকে অভিনেত্রী দিয়ে গেছেন লাগাতার একের পর এক বাণিজ্যিক হিট ছবি।
চলচ্চিত্র জগতে সুপারহিট জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। একসঙ্গে অনেক সিনেমায় সাফল্যের সাথে অভিনয় করেছেন তারা। এক দশকেরও বেশি দর্শক মাতিয়েছেন এই জুটি। সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দুই বাংলায়ই বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়াও অভিনয় করেছেন হিন্দি ও তেলেগু সিনেমায়ও। ১৯৯২ সালে শ্বেত পাথরের থালা ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জীবনে পথচলা শুরু তার।
১৯৯৮ সালে দহন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। তেসরা কন তার অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা। এছাড়াও হেমা মালিনীর হোম প্রোডাকশনের একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ২০১৩ সালে কাদাভেদু নামের একটি তেলেগু সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
মাউন্ট কারমেল স্কুলে সে পড়াশুনা শুরু করেন এবং লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ থেকে ইতিহাসে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। ছেলেবেলার বন্ধু সেনগুপ্ত সঞ্জয়কে ১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে অঙ্কন নামে একটি ছেলে ও রিশন নিয়া নামে একটি মেয়ে সন্তান আছে তাদের।
তার জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে স্বামী কেন আসামী, মনের মানুষ, আদরের বোন, আমি সেই মেয়ে, সংসার সংগ্রাম, সাগরিকা প্রভৃতি। বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন ঋতুপর্ণা। তবে এইদেশে তার সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ছিলো ‘সাগরিকা’ ও ‘রাঙাবউ’। বাংলাদেশে ঋতু অভিনয় করেছেন মান্না, ফেরদৌস, আমিন খান, হেলাল খান, রিয়াজ, আরিফিন শুভ’র মতো জনপ্রিয় সব নায়কদের বিপরীতে।